বেশ কিছু দিন ধরেই জলঙ্গি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে রুপো পাচার হচ্ছে বলে খবর পাচ্ছিল বিএসএফ। এ বার ওই সীমান্ত দিয়ে সাইকেলের রডের ভিতর লুকিয়ে সোনা পাচার রুখে দিল বিএসএফ। উদ্ধার হয়েছে ৫৬৫ গ্রাম সোনা। সাইকেলে এক পাচারকারী ওই সোনা নিয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করছিল। বিএসএফের দেখে সন্দেহ হয়। জওয়ানেরা তাকে ধরতে গেলে সে সাইকেল এবং সোনা ফেলে পালিয়ে যায়। বিএসএফের দাবি, চর এলাকার বাসিন্দা ওই পাচারকারী পালিয়ে গেলেও তার পরিচয় জানা গিয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশিশুরু হয়েছে।
গত কয়েক মাসে সীমান্ত দিয়ে গবাদি পশু পাচার অনেকটাই কমেছে। তবে কাঁটা তারহীন সীমান্ত দিয়ে এ দেশে পাচার থেমে নেই। এ দিনে সোনা উদ্ধারের পরে তা স্পষ্ট হল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, বিএসএফ নজরদারি কড়া করায় অভিনব কৌশলে পাচারের চেষ্টা চলছে। বিএসএফ জানিয়েছে, চর পরশপুরের বাসিন্দা ওই যুবক শনিবার দুপুরে সাইকেলে চরের দিক থেকে পদ্মার শাখা নদী পেরিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডের দিকে আসছিল। সন্দেহ হওয়ায় বিএসএফ জওয়ানেরা তাকে তাড়া করেন। তখন সে পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু আলপথ এবং কাদায় সাইকেল জোরে চালাতে পারছিল না ওই পাচারকারী। এক সময় সে সাইকেল ফেলে দৌড়ে পালায়। ১৪৬ নম্বর ব্যাটালিয়ানের জওয়ানেরা সাইকেলটিতে তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু প্রাথমিক তল্লাশিতে কিছুই পাননি তাঁরা। কিন্তু ওই যুবক পালিয়ে যাওয়ায় জওয়ানেরা নিশ্চিত হন, সে কোনও কিছু পাচার করারই চেষ্টায় ছিল। বিএসএফের জওয়ানেরা শেষ পর্যন্ত সাইকেলের মূল কাঠামোর পাইপ কাটলে তার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে বেশ কয়েকটি সোনার টুকরো। লাল কাপড়ে মোড়া ছিল সেই সোনা। পরীক্ষা করে দেখা যায় তার ওজন ৫৬৫ গ্রাম।
বিএসএফের কর্তাদের দাবি, বাংলাদেশ থেকে এ দেশে সোনা এনে বিক্রি করতে পারলে বাড়তি দাম পাওয়া যায়। তাই সীমান্তের গ্রামগুলির কেউ কেউ সোনা পাচারে জড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া, অনেক সময় এ দেশে পাচার হওয়া অন্য নানা পণ্যের দাম হিসেবেও সোনাপাঠানো হয়।
বিএসএফের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘বর্ষাকাল বিশেষত পাট গাছ বড় হলে পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেই কারণেই এই সময় আমরা আরও কড়া নজরদারি চালাচ্ছি। আগের চেয়ে পাচার কমলেও তা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)