দিন কয়েক আগেই মাটির নীচে ‘বাঙ্কার’-এর ভিতর থেকে হাজার হাজার কাশির নিষিদ্ধ সিরাপ উদ্ধার করেছিল বিএসএফ। সেই ঘটনায় কার্যত গোটা রাজ্য জুড়েই তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবার সেই সিরাপ নিয়েই খরবের শিরোনামে উঠে এল কৃষ্ণগঞ্জ।
এ বারে কাশির নিষিদ্ধ সিরাপ উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল বিএসএফকে। ভাঙচুর করা হল সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গাড়ি। এই ঘটনায় এলাকায় রীতিমত তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। বিএসএফের তরফে দশ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণগঞ্জের মথুরাপুর এলাকায় মাথাভাঙা নদীর পাড়ে একটি ‘রিভার পাম্প’-এর ভিতরে কাশির নিষিদ্ধ সিরাপ মজুত রাখা আছে বলে গোপন সূত্রে খবর পায় বিএসএফ। সেই মত শনিবার বেশ কয়েকজন বিএসএফ জওয়ান মধুরাপুরের ওই এলাকায় মাঠের ভিতরে তল্লাশি শুরু করে। সেই সময় বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা এসে তাদের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তারা তল্লাশি চালাতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। সেই দলে মহিলাদের সংখ্যাই বেশি ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে।
অভিযোগ, পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করে। সেই সময়ই বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী মিলে বিএসএফের গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। যদিও জওয়ানরা তেড়ে গেলে এলাকা ছেড়ে তারা পালিয়ে যায়। জওয়ানদের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের কথা জানতে পেরে আরও জওয়ান নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসেন বিএসএফের কর্তারা। এর পরে কাশির সিরাপের পাশাপাশি আক্রমণকারীদের সন্ধানে মাঠের ভিতরে আরও বেশ কিছু সময় ধরে তল্লাশি চালানো হয়। রাতে বিএসএফের তরফে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)