Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Crime

গুলিতে হত ঘি ব্যবসায়ী

ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়েরা। ইনসেটে, নিহত রিপন।

ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়েরা। ইনসেটে, নিহত রিপন। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৭:৩৯
Share: Save:

শীতের রাতে বৈষ্ণবতীর্থ মায়াপুরে ‘শুট আউট’। দুষ্কৃতিদের গুলিতে খুন হলেন এক ব্যক্তি। রসিকশেখর দাস (৩৫) নামে পেশায় ঘি ব্যবসায়ী ওই ব্যক্তিকে সোমবার রাতে তাঁর দোকানের মধ্যে গুলি করে খুন করা হয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি কার্তুজের খোল। তাঁর দেহে চার-পাঁচটি ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। ময়নাতদন্তের আগে পুলিশ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি তাঁর শরীরে ঠিক ক’টি বুলেট বিদ্ধ হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় কেউ এখনও ধরা পড়েনি।

মৃতের বাবা রেবতীমোহন দাস বলেন, “আমি কৃষ্ণনগরে থাকি। ছেলে সপরিবারে মায়াপুরে থাকে। বউমা নাতনিকে নিয়ে বাপের বাড়ি হাওড়া গিয়েছিল। ও মায়াপুরে একাই ছিল। আজ সকালে আমার বউমা হাওড়া থেকে আমায় ফোন করে জানায়, আমার ছেলে গুরুতর অসুস্থ। আমি যেন তাড়াতাড়ি চলে যাই। সঙ্গে-সঙ্গে বাইকে মায়াপুরে এসে শুনি, ওকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। ” কে বা কারা খুন করতে পারে, এই প্রশ্নের জবাবে রেবতীমোহনবাবু বলেন, “ওর ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে বাড়ির কারও কিছু জানা নেই। আমরা শুধু চাই পুলিশ যেন ভাল করে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে শাস্তি দেয়।”

মৃত রসিকশেখর দাস মায়াপুরের পরিচিত মুখ ছিলেন। তিনি নিজেই ঘিয়ের ব্যবসা করতেন। ইস্কনের দীক্ষাপ্রাপ্ত ভক্ত। ফলে বিষয়টি নিয়ে মায়াপুরো শোরগোল পড়েছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের আসল নাম রিপন দাস। ইস্কনে দীক্ষা নেওয়ার পর তাঁর নাম হয় রসিকশেখর। আদতে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা রিপনের সঙ্গে ইস্কন বা মায়াপুরের সম্পর্ক প্রায় দেড় দশকের। বাবা রেবতীমোহন দাস জানিয়েছেন, তাঁর দুই মেয়ে এবং এক ছেলের মধ্যে রিপন ছিলেন সকলের ছোট। তাঁর কথায়, “বছর চোদ্দো-পনেরো আগে ও ইস্কনের ভক্তিবেদান্ত বুক ট্রাস্টে কাজ শুরু করে। একে একে নামহট্ট ভবন, জমি, মোটর ভেহিক্যালসের মতো ইস্কনের নানা দফতরে কাজ করেছে। কিছুদিন আগে মায়াপুরে বাড়ি তৈরির কাজও করেছে। বছর পাঁচেক আগে নিজস্ব ঘিয়ের ব্যবসা শুরু করে।”

এই খুনের বিষয়ে নদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃশানু রায় বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সিসিটিভির ফুটেজ-সহ সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বা ফুটেজ হাতে না০পাওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Death Crime Mayapur Firing
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE