Advertisement
E-Paper

অকাল ভোটেই মুঠো ভরা রোজগার

এই বিষয়ে করিমপুরের প্যান্ডেল ব্যবসায়ী লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল জানান, পুজো শেষ। এই সময়ে বিয়ে, অন্নপ্রাশন-সহ অন্য নানা অনুষ্ঠানের কাজের চাপ থাকে। তবে এবারের ভোটের জন্য বিপুল পরিমাণ কাজ চলছে।

কল্লোল প্রামাণিক 

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯ ০০:৫৫
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

পুজো-পার্বণ শেষেও করিমপুর উপ-নির্বাচন উপলক্ষে বাড়তি রোজগারে খুশি এলাকার বহু ব্যবসায়ী ও শ্রমিক।

যে কোনও নির্বাচনেই সরকারি হোক বা রাজনৈতিক— সব দলেরই প্রচুর পরিমাণে টাকা খরচ হয়। সেই খরচের থেকে লাভের একটা বড় অংশ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ঘরে আসে। এ বার প্রথম উপ-নির্বাচন হচ্ছে এই করিমপুর কেন্দ্রে। অসময়ের এই নির্বাচনে বাড়তি লেনদেনে লাভের মুখ দেখছেন প্যান্ডেল ব্যবসায়ী, মাইক ব্যবসায়ী, ফ্ল্যাগ ফেস্টুন প্রস্তুতকারক, রং-তুলি বিক্রেতা কিংবা শিল্পীরা।

এই বিষয়ে করিমপুরের প্যান্ডেল ব্যবসায়ী লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল জানান, পুজো শেষ। এই সময়ে বিয়ে, অন্নপ্রাশন-সহ অন্য নানা অনুষ্ঠানের কাজের চাপ থাকে। তবে এবারের ভোটের জন্য বিপুল পরিমাণ কাজ চলছে। ভোটের আগে প্রায় প্রতি দিনই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মিটিং, জনসভার জন্য মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়াও ডিসি আরসি কেন্দ্রের সব কাজের দায়িত্ব রয়েছে। সেখানে প্রায় পঁচিশ দিন থেকে গড়ে বহু শ্রমিক কাজ করছেন।

লক্ষ্মীকান্ত বলেন, “শুধুমাত্র এই ভোটের কারণে আমার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার বহু শ্রমিক কাজ করে রোজগারের সুযোগ পেয়েছেন।”

ভোট ঘোষণার পর থেকে নাওয়াখাওয়ার সময় নেই করিমপুর নাটনার মাইক ব্যবসায়ী তারক নাথের। তিনি বলেন, “এবারের ভোটে প্রচুর কাজ হচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলের প্রচারের জন্য রোজ দিন মাইকের ভাড়া থাকছে এবং কাজ করতে করতে গড়ে প্রায় দশ জন শ্রমিক হাঁফিয়ে যাচ্ছেন। এতটুকু বসার সময় নেই আমাদের।’’

তবে একইসঙ্গে তিনি জানাতে ভোলেননি— ‘‘কাজের চাপ থাকলেও সবার একটা বাড়তি আয় হওয়ায় আমরা সকলেই খুশি।”

ভোটের প্রচারে গাড়ি ভাড়া দিয়েছেন অনেকে। তাঁদের এক জন সঞ্জয় মণ্ডল। তিনি জানান, গাড়ির ভাড়া অন্য সময়ে থাকলেও তা নিয়মিত হয় না। এক দিন ভাড়া হলে পরের দু’দিন গাড়ি বাড়িতেই দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু বর্তমানে একটি রাজনৈতিক দল পঁচিশ দিনের জন্য গাড়ি ভাড়া নিয়েছে। জ্বালানির সম্পূর্ণ খরচ তারা দেবে এবং প্রতি দিন ভাড়া বাবদ এক হাজার টাকার চুক্তি হয়েছে। সঞ্জয় এ দিন বলেন, ‘‘একসঙ্গে পঁচিশ হাজার টাকা হাতে পেলে টাকাটা কাজে লাগানো যাবে। না হলে অন্য সময়ে যে ভাড়া পাওয়া যায়, তা খরচ হয়ে যায়। আয়ের টাকা একসঙ্গে জমা করাও সম্ভব হয় না।’’

করিমপুরের ফ্লেক্স-ফেস্টুন প্রস্তুতকারী ব্যবসায়ী বাপ্পাদিত্য চৌধুরী বলছেন, “কোনও দোকান কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য বছরভর যে পরিমাণ ফেস্টুনের কাজ হয়, তার চেয়ে অনেক গুণ বেশি কাজ হয় কোনও নির্বাচনে।’’

উৎসবের পর উপ-নির্বাচন তবে ভালই আয়ের রাস্তা খুলেছে করিমপুরের ব্যবসায়ীদের জন্য? বাপ্পাদিত্যের জবাব— ‘‘এবারেও প্রচুর ফেস্টুন ও ব্যানার তৈরির কাজ হয়েছে। অসময়ে ভালই আয় হয়েছে।”

By Election TMC CPM
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy