আতঙ্ক তখনও কাটেনি।
পরিবারের সদস্যদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে কয়েক ভরি সোনা ও রুপোর গহনা নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। রবিবার রাতে বেলডাঙা থানার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া ভাবতার একটি সোনার দোকানে পিস্তল হাতে তিন জন দুষ্কৃতী বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে। পরে মহিলাদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে একটি ঘরে বন্ধ করে রেখে সোনার দোকানে লুটপাট চালায়। মহিলারা বাধা দিতে গেলে তারা সবন্যে এক রাউন্ড গুলি চালায় বলেও অভিযোগ। সোনার দোকান মালিক অমরনাথ সাহার দাবি, লক্ষাধিক টাকার সোনা ও রুপোর গয়না নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। যদিও ওই ঘটনায় সোমবার পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ জানায়, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। কিন্তু ওই ঘটনায় জড়িত কেউ এখনও গ্রেফতার হয়নি। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে দোকান বন্ধ করার আগের মুহূর্তে আচমকা দোকানের কাঁচ ঠেলে দুই ব্যক্তি সোনার দোকানে ঢোকেন। দোকানে ঢুকেই তারা দোকান মালিককে ‘একটা সোনার আংটি তৈরি করতে কত টাকা খরচ হবে’ বলে জানতে চায়। কিন্তু দোকান মালিক উত্তর দেওয়ার আগেই সাদা কালো টি শার্ট পরা এক ব্যক্তি কোমর থেকে পিস্তল বার করে। অন্য জন একটা ব্যাগ নিয়ে দোকানের একেবারে ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং একের পর এক সোনা ও রুপোর গয়না ব্যাগের মধ্যে ঢোকাতে থাকে। তত ক্ষণে দুষ্কৃতীদের মধ্যে এক জন দোকানের পিছনের একটি ঘরের মধ্যে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। সেই ছোট্ট ঘরে ছিলেন অনিমা সাহা, প্রিয়াঙ্কা পাল ও অমৃতা সাহা। বৃদ্ধা অনিমা সাহা বলছেন, ‘‘আমাদের ঘরে ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় এক জন দুষ্কৃতী। তখন সঙ্গে ছিল আঠারোর এক নাতনি ও বৌমা। পিস্তল দেখিয়ে ভয় দেখায় আমাদের। আমি তখন ওই যুবককে ধরার চেষ্টা করেছিলাম। তখনই গুলি চালায়। পরে দরজা খুলে পালিয়ে যায়।’’ মোটর বাইক নিয়ে চম্পট দেয় যে কিছু করা যায়নি। তবে সবটা সিসি টিভি ক্যামেরায় ধরা পরেছে। পুলিশকে লিখিত জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy