প্রতীকী ছবি।
রোগী মৃত্যুর ঘটনায় ধুন্ধুমার বেধে যায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার রাতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান বহরমপুর ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার বিশ্বনাথ মজুমদার (৬৩)। অভিযোগ, মৃত্যুর কারণ জানতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে উত্তেজনা তৈরি হয়। সেই সময়ে রোগীর পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি পরে প্রহৃতদের নামে পুলিশের কাছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার ধৃত সঞ্জয় হালদারকে বহরমপুর আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার প্রভাসচন্দ্র মৃধা বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টা নাগাদ সঙ্কটজনক অবস্থায় এক জন রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর ১৫ মিনিটের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। তাই নিয়ে একটা হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।’’ ইন্দ্রপ্রস্থ এলাকার বিশ্বনাথ মজুমদারকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে তাঁকে ইঞ্জেকশন ও অক্সিজেন দেওয়া হয়। মিনিট পনেরোর মধ্যে তিনি মারা যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৃতের স্ত্রী নীলিমা হালদার এক জুনিয়র চিকিৎসককে ধরে বলেন, ‘‘ডাক্তারবাবু আমার স্বামীকে মেরে ফেললে কেন! ওই ইঞ্জেকশনের খাপটা
আমাকে দাও।’’
ওয়ার্ডে তখন ছিলেন মৃতের পরিজনেরা। মৃতের ছেলে মিলন হালদার বলেন, ‘‘ওয়ার্ডের বাইরে সিসিক্যামেরা থাকায় আমাদেরকে ওয়ার্ডের ভিতরে লাঠি দিয়ে মারধর করেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।’’ ধৃত সঞ্জয় হালদারের আইনজীবী অর্কজ্যোতি ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমার মক্কেলেরা প্রহৃত হন, আবার তাঁদের বিরুদ্ধে মারধরের মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy