শক্তিনগর হাসপাতালে চিনা প্রতিনিধিরা। বুধবার। নিজস্ব চিত্র।
দোলের দিন কয়েক আগে গত ৯ মার্চ মায়াপুরে এক বিদেশিনি-সহ দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। মৃতেরা হলেন বিশ্বরূপ দাস (২১) ও নীলা অবতার দাস (৩৫)। নীলা আদতে চিনের নাগরিক। সেই ঘটনার পর থেকেই নীলার দেহ শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল মর্গে সংরক্ষিত আছে। বুধবার চিনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে দু’জন প্রতিনিধি বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করতে কৃষ্ণনগরে আসেন। এ দিন দুপুরে প্রথমে তাঁরা শক্তিনগরে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। পরে নীলা অবতার দাসের মৃতদেহে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন। এর পর তাঁরা চলে আসেন মায়াপুরে যেখানে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল সেই গঙ্গানগরে। তাঁরা ঘটনাস্থল কিছুক্ষণ ঘুরে দেখে ফিরে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ মার্চ বুধবার সন্ধ্যায় মৃত বিশ্বজিৎ ওরফে মলয় এবং নীলা গঙ্গানগর সংলগ্ন ছাড়িগঙ্গার পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সেখানে তাঁরা একটি নৌকায় চড়েন। তার পরে বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও তাঁরা না-ফেরায় শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এলাকার মানুষ খবর পাঠান মায়াপুর পুলিশ ফাঁড়িতে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে জলে তল্লাশি শুরু করে। রাত ১০.৩০ নাগাদ প্রথমে ওই যুবকের দেহ এর প্রায় ঘণ্টাখানেক পর ওই বিদেশিনির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, সন্ধ্যার অন্ধকারে ছোট নৌকা থেকে কোনও ভাবে জলে পড়ে যান কোনও একজন। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে বিপদগ্রস্ত হন দ্বিতীয় জনও। দু’জনকে সেই রাতে মায়াপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মায়াপুরে থাকলেও নীলা অবতারের সঙ্গে ইস্কনের কোনও সম্পর্ক ছিল না-বলেই জানিয়েছিলেন ইস্কন মায়াপুরের জনসংযোগ আধিকারিক রসিকগৌরাঙ্গ দাস। এ দিন অবশ্য চিনা প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইস্কনে যাননি। রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, “আমাদের সঙ্গে ওদের কোনও যোগাযোগ ছিল না। আমাদের এখানে তাই কোনও প্রতিনিধি দল আসেননি।” চিনা দূতাবাসের প্রতিনিধিরা এই প্রসঙ্গে কোনও কথা বলেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy