রাজ্যের সীমা ছাড়িয়ে জাল ছড়িয়ে পড়েছিল দক্ষিণ ভারতেও। ভুয়ো মেডিক্যাল কাউন্সিলের নামে সেখানেও একের পর এক কলেজ খোলা শুরু হয়েছিল। সেই চক্রের অন্যতম মথা সন্তোষ লোহারকে বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার করে এ বার নিয়ে এল সিআইডি।
বৃহস্পতিবার তাকে কৃষ্ণনগর আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে ১২ দিন সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। জাল মেজিক্যাল কাউন্সিল তৈরি করে একাধিক কলেজ খোলার ঘটনায় এর আগেই সিআইডি তক্রর আর এক মাথা শ্যামল দত্ত-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছিল।
২০১৪ সাল থেকে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা শ্যামল নিজেকে কেন্দ্রীয় সরকারের মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রধান বিচারপতি পরিচয় দিয়ে মানুষকে প্রতারণা শুরু করেন। একটি গেজেট নোটিফিকেশন দেখিয়ে তিনি দাবি করতে থাকেন যে কেন্দ্র সরকারের এই গেজেট নোটিফিকেশনের বলেই তিনি ‘বায়োকেমিক এডুকেশন গ্রান্ট কমিশনের’ প্রধান বিচারপতি। শুধু তাই নয়, এর বলেই তিনি কৃষ্ণনগরকে হেড কোয়ার্টার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৭৮টি কলেজ খুলেছেন। শুধু লাল বাতি লাগানো গাড়িতে ঘোরাই নয়, রীতিমত আদালত তৈরি করে চিকিৎসকদের ‘বিচার’ করারও পাকা ব্যবস্থা করে ফেলেছিলেন তিনি।
এরই মধ্যে ভারত সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে আরটিআই করে এই সংস্থা সম্পর্কে জানতে চায় অনেকেই। বিষয়টি জানার পর তদন্ত শুরু করে। চিঠি দেওয়া হয় রাজ্য সরকারকে। একই কথা জানিয়ে দেয় ইউজিসি বা ইউনিভারসিটি গ্রান্ট কমিশনও। তারপর সিআইডির উপরে তদন্তের ভার দেওয়া হয়।
তদন্তে নেমে সিআিডি জানতে পারে সন্তোষ লোহার ‘বিচারক’ শ্যামল দত্তের অন্যতম প্রধান শাগরেদ। বর্তমানে বেঙ্গালুরু থাকলেও তার আদি বাড়ি নৈহাটি। সেখালেই রেল কোয়ার্টারে থাকতেন সন্তোষ। মেধাবী এই যুবক ২০০০ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংএ বি টেক করে। তারপর চলে যায় বেঙ্গালুরু। সেখানে এমবিএ পাশ করে একটি নামি সংস্থায় চাকরি জীবন শুরু করেন। পরে নিজেই একটি সংস্থা খুলে ব্যবসা শুরু করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy