শো শেষে বেরোচ্ছেন হাতে গোনা দর্শক। —নিজস্ব চিত্র
নোট বাতিলের জেরে আগেই মুখ থুবড়ে পড়েছিল ‘রক অন-টু’।
নোট বাতিলের ঘোষণার তিন দিন পরে, ১১ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছিল সেই ছবি। লোকে তখন নোটের গুঁতো হজম করবে, না সিনেমা দেখবে?
এক মাস পরে কিছু কি পাল্টেছে ছবিটা? বেরিয়েছে ‘ফোর্স-টু’। গত শুক্রবার এক সঙ্গে ‘ডিয়ার জিন্দেগি’ আর ‘কহানি-টু’। অবস্থা পাল্টায়নি, বরং টানা লোকসান দিচ্ছে হলগুলো।
মাল্টিপ্লেক্সের মতো যে সব হলে অনলাইনে টিকিট কাটা যায়, তাদের তবু কিছু বিক্রিবাটা আছে। কৃষ্ণনগরে সদ্য একটি মাল্টিপ্লেক্স চালু হয়েছে। সেখানে নোট বাতিলের প্রভাব কিছুটা হলেও কম পড়েছে। কিন্তু কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ড ঘেঁযা হলের ম্যানেজার নিতাই দাস বলেন, “এমনিই হলে যাওয়ার লোক কমেছে। তার উপরে নোটের ধাক্কায় বিক্রি তলানিতে।”
কল্যাণীর ‘সঙ্গম’ সিনেমা হল এখন মাল্টিপ্লেক্স। হলের তরফে অচিন্ত্য ঘোষাল জানান, টিকিট বিক্রি ৬০ শতাংশেরও বেশি কমেছে। ‘কহানি-টু’ সপ্তাহান্তে কিছু দর্শক টেনেছিল। সবই অনলাইনে। এমন চললে একটি হল বন্ধ করে দেবেন। কল্যাণীর বিদ্যাসাগর মঞ্চেও ‘কহানি-টু’ চলছে। কিন্তু টিকিট বিক্রি নেই।
বহরমপুরের একটি হলে ‘কাহানি-টু’ দেখতে বুধবারের তিনটি শোয়ের একটিতেও দর্শকসংখ্যা ৫০ ছাড়ায়নি। সূর্য এবং মোহন— এই দুই হলের মালিক অশোক জৈন জানান, দর্শক নেই বললেই চলে। বেশ কয়েকটি শো বাতিল করতে হয়েছে। এই পরিস্থিতি চললে হল তালা ঝোলানো ছাড়া গতি নেই। স্টেশন লাগোয়া সিলভার স্ক্রিনে টিমটিমিয়ে চলছে ‘ডিয়ার জিন্দেগি’। শাহরুখও লোক টানতে ব্যর্থ।
অনেক হলেই কর্মীদের নভেম্বরের বেতন হয়নি। মালিকদের একাংশের দাবি, মন্দার সঙ্গে খুচরোর সমস্যাও বেতন দেওয়ায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy