মৃত সেলিম মল্লিক
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল ধুবুলিয়া থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। তাঁর নাম সেলিম মল্লিক (৩০)। বাড়ি ধুবুলিয়ারই বটতলা এলাকায়। কমল ঘোষ নামে আর এক সিভিক ভলান্টিয়ার আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ধুবুলিয়ার বাহাদুরপুর এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, রাত আড়াইটা নাগাদ তাঁরা মোটরবাইকে চেপে কৃষ্ণনগরের দিক থেকে ধুবুলিয়া ফিরছিল। সেই সময় পিছন দিক থেকে কোনও গাড়ি তাঁদের ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। দু’জনেই ছিটকে পড়েন রাস্তার উপরে। বেশ কিছুক্ষণ পরে কমলের জ্ঞান ফিরতে, তিনি ওই থানারই আর এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ফোন করে দুর্ঘটনার কথা জানান। ধুবুলিয়া থানার পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ভোরের দিকে সেখানেই মৃত্যু হয় সেলিমের। স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য দাবি, গাড়ি থেকে টাকা তুলতে গিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ওই দু’জন। যদিও এই ঘটনার কোনও প্রত্যক্ষদর্শী না থাকায় তা মানতে রাজি নয় পুলিশ। বরং পুলিশের দাবি, ওই রাতে তাদের কোন ডিউটি ছিল না। যদিও সেলিমের বাড়ির লোকের বক্তব্য, পুলিশ ভুল বলছে। শুক্রবার রাতে সেলিমের নাইট ডিউটি ছিল। তবে অত রাতে তাঁরা কোথা থেকে ফিরছিলেন, তা পরিষ্কার নয় পুলিশের কাছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার নাকাশিপাড়ার এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ের আশীর্বাদ ছিল সেলিমের। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একেবারে প্রথম থেকেই ধুবুলিয়া থানার অন্যতম নির্ভরশীল সিভিক ভলান্টিয়ার হিসাবে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন সেলিম। রাত বিরেতে কোথায় তল্লাশীতে যাওয়া থেকে শুরু করে, দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করার ক্ষেত্রে ডাক পড়ত তাঁর। ফলে বেশির ভাগ সময় রাতে বাড়িতে থাকা হত না।
সেলিমের পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দিনই তাকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে ডিউটি দেওয়া হত। সেই মত এদিনও তার ডিউটি পড়েছিল বাহাদুরপুর এলাকায়। স্বাভাভিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, পুলিশ কি দায় এড়াটে চাইছে? জেলার পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, কমল সুস্থ হলেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy