জখম: হাসপাতালে জখম সিভিক ভলান্টিয়ার। নিজস্ব চিত্র
ডিউটি সেরে বাড়ি ফেরার পথে শনিবার মাঝ রাতে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন সুতির আহিরণ পুলিশ ফাঁড়ির তিনজন সিভিক কর্মী। হাঁসুয়া, লোহার রড দিয়ে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। হাসমত আলি নামে এক সিভিক কর্মীর ডান হাতে হাঁসুয়ার কোপ লেগেছে। তিনি মুর্শিদাবাদের আহিরণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় বংশবাটি গ্রাম থেকে মিল্টন ও রিটু শেখ নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাস চারেক আগে বংশবাটি গ্রামের আপেল শেখ নামে একজনকে গ্রেফতার করে সুতি থানার পুলিশ। তখন পুলিশকে সাহায্য করে হাসমত সহ গ্রামেরই তিন সিভিক কর্মী। মাস তিনেক জেলে থাকার পর গ্রামে ফেরে আপেল। শনিবার একটি অনুষ্ঠানের ডিউটি সেরে বাড়িতে ফিরছিলেন সিভিক কর্মী— হাসমত শেখ, তৌসিফ শেখ ও দেবাশিস মাঝি।
হাসমত জানান, গ্রামে ঢোকার আগে অজগরপাড়ার কাছে মাঠের রাস্তায় তাঁদের মোটরবাইকের উপর চড়াও হয় জনা সাতেক দুষ্কৃতী। তাদের হাতে ছিল রড ও হাঁসুয়া। তৌসিফ ও দেবাশিসের গলায় হাঁসুয়া ধরে আটকে রাখে তারা। হাঁসুয়ার কোপে আহত হয়ে তিনি মাটিতে পড়ে যেতেই ওরা পালিয়ে যায়। মোবাইলে আক্রান্ত সিভিক কর্মীরা ঘটনার কথা পুলিশকে জানান। পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। রবিবার পুলিশ গ্রামে হানা দিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করে। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য অসিত দাস বলেন, “সিভিক কর্মীর উপর এই হামলা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তবে এই হামলার ঘটনার আপেল কোনওমতেই জড়িত নয়। আপেল এলাকার সিপিএমের নেতা। এর আগে মাদকের মিথ্যে মামলায় পুলিশ তাকে ধরে। আবার তাকে এই হামলায় জড়িয়ে দিচ্ছে পুলিশ।’’ পুলিশ জানায়, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। আক্রান্ত কর্মীরা নির্দিষ্ট করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। সেই ভাবেই মামলা করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy