কংগ্রেসের থানা ঘেরাও। — নিজস্ব চিত্র।
কংগ্রেসের বাস শ্রমিক সংঠনের বহরমপুর শাখা কার্যালয় জবর দখলের অভিযোগ উঠেছে সদ্য তৃণমূলের বাস শ্রমিক সংগঠনে যোগ দেওয়া সদস্যদের বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার বহরমপুর থানা ঘেরাও করে ওই বিষয়ে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। বহরমপুর বাস টার্মিনাস লাগোয়া শ্রমিক সংঠনের বিতর্কিত ওই কার্যালয়টি পুলিশ এ দিন তালা লাগিয়ে দেয়। মালিকানার বিষয়ে পরে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানায়।
অন্য দিকে দখল চেয়ে তৃণমূলের বাস শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে বহরমপুর মহকুমাশাসকের আদালত থেকে ওই কার্যালয়ের বর্তমান অবস্থার স্থিতাবস্থা বজায় রাখার রায় দেওয়া হয়। আগামী ১৮ অগস্টে ওই মামলার ফের শুনানি রয়েছে। ওই দিন পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার মধ্যে বিতর্কিত কার্য়ালয়ের বিষয়ে তদন্ত করে মহকুমাশাসকের আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য পুলিশ ও ভূমি দফতরকে নির্দেশ দেন বিচারক।
২০১১ সালের ১৬ জুন সনৎ বসুর নেতৃত্বে সিটু ছেড়ে এক দল বাস শ্রমিক আইএনটিইউসি-তে যোগ দেন। আইএনটিইউসি অনুমোদিত বাস শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি করা হয় কংগ্রেসের জেলা নেতা আনিসুর জামানকে এবং সম্পাদক করা হয় সনৎ বসুকে। সনৎবাবু বলেন, ‘‘সংগঠনের কার্যালয়টি বেশ কয়েক বছর আগের তৈরি। বাস টার্মিনাস লাগোয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের জমিতে কার্যালয়টি বাস শ্রমিকদের পয়সায় গড়া। তখন আমরা সবাই সিটুর ইউনিয়নে ছিলাম। ২০১১ সালের ১৬ জুলাই সদলবলে আইএনটিইউসি-তে যোগ দিই। তখন থেকে সেটি আইএনটিইউসি-র কার্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছিল।’’
আইএনটিইউসি অনুমোদিত ওই বাস শ্রমিক সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ছিল ৩১৫ জন। সনৎবাবু বলেন, ‘‘গত ১৪ জুন ৩১৫ জন শ্রমিকই আইএনটিটিইউসি-তে যোগ দিয়েছি। ফলে ওই কার্যালয়টি এখন আইএনটিটিইউসি-র।’’ আনিসুর জামানের অবশ্য দাবি, সবাই নয়, শ’খানেক সদস্য আইএনটিইউসি ছেড়ে আইএনটিটিইউসি-তে গিয়েছে। মাস সাতেক আগে বহরমপুর শহর লাগোয়া ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ের উত্তরপাড়ার কংগ্রেসের কার্যালয় দখল নিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে বিবাদ বেধেছিল। ওই প্রসঙ্গ টেনে আইএনটিইউসি অনুমোদিত বাস শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি আনিসুর জামান বলেন, ‘‘সদস্যরা দল বদল করলেও কার্যালয়ের মালিকানা পাল্টাবে না। এই সূত্র মেনে উত্তরপাড়ার কার্যালয় কংগ্রেসের হাতেই তুলে দিয়েছিল প্রশাসন। এ বারেও প্রশাসন সেই সূত্র মেনে বিবাদের নিষ্পত্তি করবে বলেই আশা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy