দিন কয়েক আগে ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে নানা বেনিয়মের অভিযোগ তুলে জেলাশাসক-সহ নানা জায়গায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন ছাত্রীরা। কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজের শিক্ষকেরাও এ বার একই পথে হাঁটলেন। তাঁদের দু’পক্ষেরই অভিযোগ অধ্যক্ষ মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার শিক্ষকেরা সদলবলে যান জেলাশাসক সুমিত গুপ্তর কাছে। তাঁকে বেশ কিছু নথিপত্র দেখিয়ে তাঁরা অনিয়ম-দু্র্নীতির অভিযোগ পেশ করেন। মানবী অবশ্য তার আগেই জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ করে গিয়েছেন।
জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে ফিরে শিক্ষকেরা দেখেন, কলেজে টিচার্স রুমে তালা দেওয়া। তালা পড়েছে বিভিন্ন বিভাগের ঘরেও। কেউ তালা না খোলায় শিক্ষকেরা রাত পর্যন্ত কলেজের লনে বসে থাকেন। তাঁদের বক্তব্য, ঘরের ভিতরে ব্যাগ ও অন্য জিনিসপত্র পড়ে থাকায় তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। অনড় মানবীও। তিনি বলেন, “আমি কলেজে ঢুকে দেখেছি, কোনও শিক্ষক-শিক্ষিকা নেই। কোনো ক্লাস হচ্ছে না। অথচ ওঁরা সকলে হাজিরা খাতায় সই করেছেন।’’ তাঁর বক্তব্য, “কলেজে আসব, ক্লাস নেব না, যখন খুশি বেরিয়ে যাব, এটা তো বেশি দিন চলতে পারে না। এক জন শিক্ষক তো রুটিন পর্যন্ত ছিঁড়ে দিয়েছেন।”
২০১৬ সালেও মানবীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে টানা সাত দিন কলেজের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন সব শিক্ষকেরা। সঙ্গে ছিলেন পড়ুয়ারাও। কৃষ্ণনগর শহরে ধিক্কার মিছিলও বের করা হয়েছিল। প্রশাসনের চেষ্টায় পরিস্থিতি শান্ত হলেও পরে আবার তা মাথাচাড়া দেয়।
কলেজের অর্থনীতির শিক্ষক গৌর সরকার বলেন, “বুঝতে হবে, কী পরিস্থিতে দাঁড়িয়ে আমরা জেলাশাসকের কাছে যেতে বাধ্য হয়েছি। কলেজে ভর্তি নিয়ে একের পর অনিয়ম দেখছি। কত দিন চুপ করে থাকা যায়? এই মানসিক অত্যাচার আমরা আর সহ্য করতে পারছি না।” মানবী পাল্টা বলেন, “কলেজে যদি অনিয়ম হয়ে থাকে, উচ্চশিক্ষা দফতরকে কৈফিয়ত দেব। ওঁরা কে?”
জেলা প্রশাসনের কর্তারা বহু চেষ্টা করেও দু’পক্ষকে সমঝোতায় আনতে পারছেন না। জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত নিজে এই কলেজের প্রশাসক। তিনি বলেন, “সকলের কথা শুনেছি। আবারও দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy