Advertisement
E-Paper

স্মারকলিপি দিতে গিয়ে ধুন্ধুমার

স্মারকলিপি দেওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল কান্দি পুরসভায়। ওই দিন দুপুরে কান্দি পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি-সহ সাত দফা দাবিতে পুর-আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি দিতে যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ জুন ২০১৬ ০০:২৮

স্মারকলিপি দেওয়াকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দুপুরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল কান্দি পুরসভায়। ওই দিন দুপুরে কান্দি পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি-সহ সাত দফা দাবিতে পুর-আধিকারিকের কাছে স্মারকলিপি দিতে যান। সেই সময় ওই আধিকারিকের ঘরে পুরসভার প্রধান করণিক ছিলেন না। তিনি উপ-পুরপ্রধানের ঘরে ছিলেন। ওই করণিককে আধিকারিকের ঘরে নিয়ে যাওয়া নিয়ে উপ-পুরপ্রধানের সঙ্গে বচসা বাধে তৃণমূল সমর্থিত কর্মী সংগঠনের ওই সদস্যরা। বিষয়টি বিধানসভায় তোলেন কান্দির বিধায়ক কংগ্রেসের অপূর্ব সরকার।

অভিযোগ, পুরসভার কর্মীরা ওই করণিককে সন্ধানে উপ-পুরপ্রধানের ঘরে ঢোকে বিনা অনুমতিতে। নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল নেতা শাশ্বত মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, শাশ্বতবাবু ওই করণিককে কার্যত জোর করেই পুরসভার আধিকারিকের ঘরে নিয়ে যেতে চান। সেই সময় উপ-পুরপ্রধান সান্ত্বনা রায় ও তাঁর স্বামী কাউন্সিলর দেবজ্যোতি রায় ওই করণিককে যেতে বাধা দেন। এতেই ঝামেলার শুরু। উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরে ওই করণিককে কার্যত টেনেহিঁচড়ে পুর-আধিকারিকের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর শুরু হয় স্মারকলিপি দেওয়া পর্ব। পুর আধিকারিক অজয় কুমার চৌধুরী বলেন, “দাবিপত্র পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে পাঠিয়ে দেব।’’

পরে উপ-পুরপ্রধানের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান ওই কর্মীরা। সান্ত্বনাদেবী বলেন, “ওই করণিকের সঙ্গে বৈঠক করছিলাম। আচমকা আমার ঘরে এসে করণিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল শাশ্বত। ওরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তৃণমূলের লোকজন আমাদের নিয়ে ধস্তাধস্তি শুরু করে। আমার সোনার চেন ও স্বামীর হাতের ঘড়িটিও ওই দুর্বৃত্তরা নিয়ে পালিয়েছে। বিষয়টি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি।” কাউন্সিলর দেবজ্যোতি রায় জানান, পুলিশের মদতে শাসকদলের লোকজন গোলমাল পাকাল। শাশ্বতবাবু জানান, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। জেলার পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “পুলিশ নিজের কাজ করেছে।’’

Municipality Conflict TMC Police
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy