কংগ্রেস এবং সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান। —নিজস্ব চিত্র।
কেউ ছিলেন সিপিএমে, কেউ কংগ্রেসে। তাঁরা সকলে এক সঙ্গে যোগ দিলেন তৃণমূলে। মুর্শিদাবাদের ডোমকলে বাম এবং কংগ্রেস শিবিরে ভাঙন ধরাল রাজ্যের শাসকদল। বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন ডোমকল পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম এবং কংগ্রেসের দুই পঞ্চায়েত সদস্য-সহ কংগ্রেস নেতারা।
এ বার মুর্শিদাবাদ লোকসভা থেকে সিপিএমের টিকিটে প্রার্থী হন দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তাঁর হয়ে ঢালাও প্রচার করেছিলেন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী। কংগ্রেস ও সিপিএম কর্মীরা সেই প্রচারের অংশ হয়েছিলেন। কিন্তু ভোটের ফল বেরোতেই পরিস্থিতি বদলে গেল। মুর্শিদাবাদে ভাল ফল করেছে তৃণমূল। ডোমকল বিধানসভা এলাকায় বাম-কংগ্রেস জোটের থেকে ভোটের ব্যবধানে অনেকটাই এগিয়ে ছিল তৃণমূল।
ডোমকল পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে সিপিএমের প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন সরিফুল ইসলাম। পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের টিকিটে বিজয়ী হন সেন্টু রহমান। তাঁরা দু’জনেই জাফিকুলের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডোমকল ব্লক তৃণমূল কার্যালয়ে দুই জনপ্রতিনিধি ছাড়াও কংগ্রেসের ব্লক ও অঞ্চল স্তরের নেতারাও তৃণমূলে যোগদান করেন। এ নিয়ে ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুলের মন্তব্য, ‘‘মানুষের চেতনা ফিরতে দেরি হয়। তাই যোগদানে কিছুটা দেরি হয়েছে। তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলিতে উন্নয়ন হচ্ছে। সেটা অন্য দলের জনপ্রতিনিধিরা দেখছেন। সেই উন্নয়নযজ্ঞে যোগদান করতেই তাঁরা তৃণমূলের ছাতার তলায় এলেন।’’
যোগদানকারীদেরও দাবি, উন্নয়নের কাজ করতেই তাঁদের দলত্যাগ। যদিও ডোমকলের ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি তহিদুল ইসলামের কটাক্ষ, ‘‘মানুষের নয়, নিজেদের উন্নয়ন করতেই এই যোগদান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy