Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Adhir Ranjan Chowdhury

পুজোর আগেই বাইপাস চালুর দাবি অধীরের

স্থানীয় সূত্রে খবর, বহরমপুর শহরের বুক চিরে বেরিয়ে গিয়েছে লালগোলা-শিয়ালদহ রেলপথ। এ ছাড়া এই শহরকে দু’ভাগ করে বেরিয়ে গিয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কও। যার জেরে বহরমপুরে যানজট লেগেই থাকে।

An image of Adhir Chowdhury

লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৩ ০৬:২৮
Share: Save:

দুর্গাপুজোর আগে বহরমপুরের বাইপাস রাস্তা চালুর দাবি করলেন লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে তিনি কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই পুজোর আগে বহরমপুর বাইপাস রাস্তা চালু করার দাবি জানান। সেই সঙ্গে বেলডাঙার ভাবতায় রেললাইনের উপরে অর্ধসমাপ্ত সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানান।

পরে অধীর ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, ‘‘মঙ্গলবার সকালে ভারতের সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ীর সঙ্গে বৈঠক করেছি। বহরমপুর বাইপাস যেটা ভাগীরথী নদীর উপরে সেতুর একটা অংশের কাজ শেষ হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে দুর্গাপুজো আসছে। বহরমপুর শহর ও তার সংলগ্ন এলাকার মানুষের যাতায়াতের জন্য অন্ততপক্ষে পুজো উপলক্ষে এই সেতুটা চালু করে দেওয়া হোক এমন দাবি জানিয়েছি। তারপরে তাড়াতাড়ি করে সেতুর বাকি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হোক। পাশাপাশি ভাবতায় যে রেললাইনের উপরে একটি সেতু অর্ধেক অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেটাও যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায় তার জন্য মন্ত্রীর সঙ্গে আমি আলোচনা করেছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘সম্ভবত দুর্গাপুজো উপলক্ষে কিছুদিনের জন্য অর্থাৎ পুজোর সময়টুকু যাতে অন্তত এই সেতুতে (বাইপাস রাস্তা) যাতায়াতের সুবিধা মানুষ পান হয়তো তার ব্যবস্থা হবে বলে আমি আশা করছি।’’

স্থানীয় সূত্রে খবর, বহরমপুর শহরের বুক চিরে বেরিয়ে গিয়েছে লালগোলা-শিয়ালদহ রেলপথ। এ ছাড়া এই শহরকে দু’ভাগ করে বেরিয়ে গিয়েছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কও। যার জেরে বহরমপুরে যানজট লেগেই থাকে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২০০৯ সালে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের সময় বহরমপুর শহরকে যানজটমুক্ত করতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ বহরমপুরে বাইপাস রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। সেই মতো বহরমপুর শহর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে বলরমাপুর থেকে বাইপাস রাস্তার তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেখান থেকে মানকরা হয়ে ভাগীরথীর উপর দিয়ে বাসুদেবখালি হয়ে খাগড়াঘাট স্টেশনের পশ্চিম দিক দিয়ে ফতেপুরের কাছ পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার বাইপাস রাস্তার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে ভাগীরথীর উপরে একটি দ্বিতীয় সেতু সহ ওই রাস্তার দু’টি লেনের কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে আরও একটি সেতু সহ বাকি দু’টি লেনের কাজ চলছে। আর সেই ঝকঝকে রাস্তা দেখতে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় ভিড় করছেন বহরমপুর-সহ জেলার বাসিন্দারা। প্রতিদিন বিকেলে মেলার আকার ধারণ করছে সেখানে।

সম্প্রতি বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বহরমপুর বাইপাস রাস্তা চালুর দাবিতে কেন্দ্রের সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন। সেদিন অধীর জানান, বহরমপুরে বাইপাস রাস্তার একটি দিকের রাস্তা চালুর উপযুক্ত হয়েছে।

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের তরফেও দ্রুত একদিকের রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। তবে দিন তিনেক আগে বহরমপুরে বাইপাস রাস্তার পরিদর্শন করেন গ্রামোন্নয়ন ও খাদ্যমন্ত্রী সাধ্বী জ্যোতি নিরঞ্জন। সেদিন তিনি দাবি করেছিলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রাস্তার উদ্বোধন করবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE