প্রতীকী ছবি।
হেরোইন বিক্রি নিয়ে রেষারেষির জেরেই থেকে খুন করা হয়েছিল লালচাঁদ শেখকে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জনিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
গত ২ জানুয়ারি চাপড়ার বাংলাদেশ সীমান্ত-সংলগ্ন শিকরা এলাকায় সর্ষে খেতের ভিতরে রক্তাক্ত অবস্থায় লালচাঁদ শেখের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর বাড়ি চাপড়ার মুসলিমপাড়া এলাকায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, নিহত লালচাঁদ নিজে হেরোইন খাওয়ার পাশাপাশি হেরোইনের পুরিয়া করে বিক্রি করত। কিন্তু বেশ কিছু দিন ধরে তারই পাড়ার বাসিন্দা মইদুল শেখও একই ব্যবসা শুরু করে। ফলে দু’জনের মধ্যে শুরু হয় রেষারেষি। অভিযোগ, তখনই লালচাঁদ খুন করার পরিকল্পনা করে মইদুলকে। কিন্তু সেই পরিকল্পনার কথা জানতে পারে মইদুল। সে-ও তখন পাল্টা লালচাঁদকে খুনের ছক করতে থাকে। মইদুল মান্দিয়ার বাসিন্দা হাফিজুল শেখ ও চাপড়া সুভাষপল্লির বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ধরকে খুনের বরাত দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ১ জানুয়ারি রাতে নিজের পাড়ায় একটা বাঁশঝাড়ে বিশ্বজিৎ ও হাফিজুল হেরোইন খাওয়ার জন্য লালচাঁদকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তিন জনে নেশা শুরু করলে মইদুল এসে পিছন থেকে লালচাঁদের ঘাড়ে ও মাথায় গুলি করে। সঙ্গে সঙ্গে মারা যায় লালচাঁদ। বিশ্বজিৎ মালবাহী গাড়ি চালাত। সেই গাড়িতেই মৃতদেহটি তারা তিন জন নিয়ে যায় শিকরা এলাকায়। সেখানে ফাঁকা মাঠে মৃতদেহ ফেলে দেয়। পুলিশ খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করেছে। পাওয়া গিয়েছে বিশ্বজিৎ-এর গাড়িটিও। গত ৮ জানুয়ারি রাতে পুলিশ প্রথমে মইদুল শেখকে গ্রেফতার করে। পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় তাকে জেরা করে বাকি দু’জনের নাম জানতে পারা যায়। তাদেরও গ্রেফতার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy