ভাইরাল হওয়া সেই দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
স্থানীয় ‘প্রভাবশালী’ তৃণমূল নেতার জন্মদিনে উর্দি গায়ে হাজির মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানার এক পুলিশ আধিকারিক। তৃণমূল নেতা কেক কাটেন। মাথায় ‘বার্থডে ক্যাপ’ পরে সেই কেক খান পুলিশ আধিকারিক। নেতার অনুগামীরা তাঁর মুখে মাখিয়ে দেন কেক। সমাজমাধ্যমে সেই ছবি ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হল বিতর্ক। ভাইরাল ভিডিয়োকে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন) হাতিয়ার করেছে বিজেপি। শাসকদল এবং পুলিশের ‘সুসম্পর্ক’ নিয়ে কটাক্ষ শানিয়েছে তারা। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব ওই বিতর্কে পাত্তা দিচ্ছে না। আর বিতর্ক প্রসঙ্গে ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, কিছু ভেবেচিন্তে ওই ‘কাজ’ করেননি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ ব্লকের তৃণমূল নেতা সোহেল রানা মণ্ডলের জন্মদিন উপলক্ষে স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তো বটেই, আমন্ত্রিত ছিলেন পঞ্চায়েত এবং ব্লকের ঠিকাদার থেকে প্রশাসনের কেউ কেউ। নিমন্ত্রিত ছিলেন রানিনগর থানার পুলিশ আধিকারিক তাজ আলম। সেখানকার একটি ছবি এবং ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে, জন্মদিন অনুষ্ঠানে হইচইয়ের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিক। তাঁকে কেক কাটার সময় হাততালি দিতে দেখা যায়। কেকও খান ‘বার্থডে ক্যাপ’ মাথায় দিয়ে। তাঁর উর্দিতে মাখিয়ে দেওয়া হয় কেক। তার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ওই ভিডিয়ো এবং ছবি প্রসঙ্গে বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি শাখারভ সরকারের খোঁচা, ‘‘আমরা বিরোধীরা তো বরাবর দাবি করে এসেছি যে পুলিশ প্রশাসন তৃণমূলের দলদাস হয়ে কাজ করছে। যে ভিডিয়ো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, এটা তো নতুন কিছু নয়। এখন জনগণ দেখুন, কী ভাবে পুলিশ নির্লজ্জের মতো তৃণমূল নেতার জন্মদিনে পালন করতে উর্দি পরে উপস্থিত হয়েছেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘নিজেদের সম্মান তো কবে ধুলোয় মিশিয়েছেন এঁরা। কিন্তু উর্দির সম্মানটাও রাখতে পারলেন না।’’
পাশাপাশি বিজেপি নেতা প্রশ্ন তুলেছেন, এর পরেও কী ভাবে বিশ্বাস করা যাবে যে রাজনৈতিক গন্ডগোলে পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করবে। যদিও এই বিষয়টিকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের কথায়, ‘‘জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে তো যে কেউ আসতেই পারেন। এটা বাংলার সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে। সব কিছুতেই রাজনীতি দেখা অর্থহীন।’’ তাঁকে জড়িয়ে বিতর্কে পুলিশ আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওই এলাকা দিয়ে (তৃণমূল নেতার বাড়ির কাছ দিয়ে) আসছিলাম। একটি বিশেষ প্রয়োজনে একটি দোকানে বসি। তখন কেক কাটা চলছিল। ভেবেচিন্তে কিছু করিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy