Advertisement
E-Paper

নিভৃতবাস কেন্দ্র থেকে বাড়িতে, উঠছে প্রশ্ন

এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই যুবককে হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হলেও তাঁর বাড়ির লোকজন বাইরে বেরিয়েছেন।

সন্দীপ পাল

শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২০ ০৬:১৬
এ ভাবেই চলছে যাওয়া আসা। নেই সচেতনতা। —নিজস্ব চিত্র

এ ভাবেই চলছে যাওয়া আসা। নেই সচেতনতা। —নিজস্ব চিত্র

রাধাকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মু্ম্বই ফেরত এক শ্রমিকের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসার পর স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন ওই শ্রমিকের প্রতিবেশীরা। তাঁদের অভিযোগ, মুম্বই থেকে ফেরার পর ওই যুবককে তিন দিন সরকারি কোয়রান্টিনে রাখার পর বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে রবিবার তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে।

এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই যুবককে হোম কোয়রান্টিনে পাঠানো হলেও তাঁর বাড়ির লোকজন বাইরে বেরিয়েছেন। এতে এলাকায় সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা। ওই গ্রামের এক বাসিন্দা কামালউদ্দিন শেখের কথায়, ‘‘স্বাস্থ্য দফতর কেন রিপোর্ট আসার আগে ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলেন? শ্রমিকদের যেখানে ১৪ দিন কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখার নিয়ম রয়েছে, সেখানে কেন ওই নিয়ম অমান্য করা হল?’’ তাঁর বক্তব্য, রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত শ্রমিকদের কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা উচিত।

করোনা চিত্র

• মোট আইসোলেশন ওয়ার্ড ৯টি।

• বেড সংখ্যা ৩৩৮টি।

• জেলায় আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে ২০৪৪ জনকে।

• এখনও পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১৯২৮ জনকে।

• রবিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত নতুন করে ভর্তি করা হয়েছে ৪৯ জনকে।

• ভর্তি আছে ১১৬ জন।

• মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৬৮২৪ জনের।

• রবিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৭১ জনের।

• এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে ২৪৪৩ জনের।

• এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে ৭৯ জনের।

তথ্য: রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর

তবে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম দিকে নিয়ম ছিল, পরিযায়ী শ্রমিকরা ফেরার পর তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে পাঠাতে হবে। রাধাকান্তপুরের বাসিন্দা ওই শ্রমিক সেই সময়ে ফেরেন। যদিও পরে ওই নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছিল বলে দাবি স্বাস্থ্য কর্তাদের। সেই নিয়মে বলা হয়েছিল, সকল শ্রমিককে ১৪ দিন কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখতে হবে। শনিবার সেই নিয়মের পরিবর্তন করে আবার বলা হয়েছে, সাত দিন সরকারি কোয়রান্টিন সেন্টারে রেখে বাকি সাতদিন হোম কোয়রান্টিনে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি জানানো হয়, প্রতি দিন এত শ্রমিক ফিরছেন যে, তাঁদের জায়গা করে দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। এরই মধ্যে, তেহট্টে আরও দুই করোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছে শনিবার রাতে। দু’জনেই মহারাষ্ট্র ফেরত পরিযায়ী শ্রমিক। তেহট্টের নওদাপাড়া ও দফাদারপাড়ায় তাঁদের বাড়ি। গত ২৬ তারিখ কৃষ্ণনগরে ওই দুই শ্রমিক ফেরেন। সেখানেই তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শনিবার রাতে তাঁদের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাতেই তাঁদের কল্যাণীতে স্থানান্তরিত করা হয় এবং তাঁদের সংস্পর্শে থাকা চারজনকে চিহ্নিত করে তেহট্টে আইসোলেশন সেন্টারে পাঠানো হয়।

Coronavirus in Lockdown Quarantine Center
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy