Advertisement
E-Paper

চুল মানে না লকডাউনের মানা

করিমপুরের অমিতাভ বিশ্বাস জানালেন, দাড়িটা নিজে বাড়িতে কাটলেও চুল কাটতন সেলুন গিয়ে।

কল্লোল প্রামাণিক 

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৫৫
 বাড়িতে-বাড়িতেই অপটু হাতে চলছে চুল ছাঁটা। করিমপুরে। নিজস্ব চিত্র

বাড়িতে-বাড়িতেই অপটু হাতে চলছে চুল ছাঁটা। করিমপুরে। নিজস্ব চিত্র

হাইফ্যাশনের সেলুন হোক কিংবা গাছতলার ‘ইটালিয়ান সেলুন’— লকডাউনে সর্বত্র থেমে গিয়েছে নাপিতদের কাঁচি। কিন্তু প্রকৃতির নিয়মে চুল আর দাড়ির বেড়ে চলায় তো ছেদ পড়েনি। ফলে সমস্যায় পড়েছেন বেশির ভাগ মানুষ এবং মূলত ছেলেরাই।

উঠতি বয়সের যে ছেলেরা মাথায় বাহারি কেতার চুল রেখেছিলেন তাঁদের স্টাইল ভেসে গিয়েছে। বাচ্চাদের মাথার চুল কাটতে কোথাও বাবা অথবা মা নিজেই কাঁচি ধরেছেন আবার কোথাও প্রৌঢ় বাবার মাথার চুল কেটে দিচ্ছেন ছেলে। টানা অনেকদিন ঘরবন্দি থাকার সুযোগে অনেকেই মাথার চুল কুচি-কুচি করে কেট প্রায় ন্যাড়ার মতো করে ফেলেছেন। অনেকে আবার এই সুযোগে লম্বা দাড়ি রাখার অনেক দিনের শখ মিটিয়ে ফেলছেন।

করিমপুরের অমিতাভ বিশ্বাস জানালেন, দাড়িটা নিজে বাড়িতে কাটলেও চুল কাটতন সেলুন গিয়ে। সে সব এখন বন্ধ। লকডাউনের মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ায় মঙ্গলবার এক রকম বাধ্য হয়েই বাড়িতে ছেলের কাছে চুল কাটাতে হল। বছরের প্রথম দিনটায় একমাথা এলোমেলো চুল নিয়ে নয়তো নিজেকে খুব অপরিচ্ছন্ন লাগছিল।

জীবনে প্রথম বার নাপিতের ভূমিকায় অবতীর্ণ ব্লক অফিসের কর্মী মৃণাল চক্রবর্তী। বাড়ির দুই খুদের চুল কেটেছেন তিনি। আবার দশ বছরের ছেলের মাথা নেড়া করে দিয়েছেন অশোক কর্মকার।

করিমপুরের এক সেলুন-মালিক জানালেন, দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ থাকায় রোজগারের শোচনীয় দশা। অন্য অনেক দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের মত নাপিতেরাও এখন কাজ হারিয়ে অথৈ জলে।

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy