Advertisement
E-Paper

আনলকেও রক্তাল্পতায় ভুগছে ব্লাডব্যাঙ্ক

জেলার বেশ কিছু হাসপাতালে জরুরি অস্ত্রোপচার ছাড়া ও.টি (অপারেশন থিয়েটার) প্রায় স্তব্ধ।

বিদ্যুৎ মৈত্র

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৪৪
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

করোনা কালে রক্তের আকাল কিছুতেই মিটছে না জেলার ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে। রক্তাল্পতায় ভুগছে বহরমপুর থেকে কান্দি, জঙ্গিপুর এমনকি সীমান্তবর্তী এলাকা ডোমকল মহকুমা হাসপাতালও। জেলার বেশ কিছু হাসপাতালে জরুরি অস্ত্রোপচার ছাড়া ও.টি (অপারেশন থিয়েটার) প্রায় স্তব্ধ। রক্তসঙ্কটের এই আবহে অসুবিধায় পড়েছেন থ্যালাসেমিয়া রোগীরা। প্রসূতিদের অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি ডায়ালিসিস করাতে আসা রোগীদের অবস্থা নিয়েও কপালে ভাঁজ পড়েছে চিকিৎসকদের।
লকডাউনে বন্ধ থাকা রক্তদান শিবির আনলক পর্বে নতুন করে শুরু হলেও সেই সব শিবিরে রক্তদাতার সংখ্যা হাতে গোনা। স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় শিবিরে আসতে এখনও দ্বিধা রয়েছে মানুষের। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলেও তা যে আশা জোগানোর মতো নয়, তা কবুল করছেন আয়োজকেরা। মানুষকে রক্তদানে উৎসাহিত করে চলেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিও। কিন্তু সাড়া যে তেমন মেলেনি তা শিবিরের হাল দেখেই স্পষ্ট হচ্ছে।
বিভিন্ন ব্লাড ব্যঙ্কের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে, জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভা উৎসাহ দেখালেও রক্তদান শিবিরের আয়োজনে একেবারেই উৎসাহ নেই বহরমপুর পুর এলাকায়। আনলক পর্বে শিবিরগুলি থেকে মেরেকেটে একশো বোতল রক্ত সংগ্রহ করা গিয়েছে। বেশির ভাগ শিবির থেকেই গড়ে রক্ত মিলেছে ১০ থেকে ২০ ইউনিট। অথচ জেলার হাসপাতালগুলিতে গড়ে দৈনিক একশো বোতল রক্তের প্রয়োজন। বহরমপুর ব্লাড ব্ল্যাঙ্কের চিকিৎসক জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, “রক্তের আকাল দেখে মানুষ সচেতন ভাবে এগিয়ে না এল এই সমস্যা মিটবে না।’’ জেলার ব্লাডব্যাঙ্ক গুলির দিকে তাকালেই নজরে পড়বে জেলা সেখানে রক্ত মজুতের বাস্তব চিত্র। বহরমপুর ব্লাডব্যাঙ্কে মজুত রক্তের পরিমাণ মাত্র ৪৬ ইউনিট, ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে ৪১, জঙ্গিপুরে ২০ ইউনিট এবং কান্দি ব্লাড ব্যাঙ্কে রয়েছে ২৩ ইউনিট রক্ত।
এই অবস্থায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যুব শাখার উদ্যোগে মানুষকে রক্তদানে উৎসাহিত করতে প্রচার চালানো হচ্ছে। বাম যুব সংগঠন ডিওয়াইএফ-এর যুগ্ম সম্পাদক সন্দীপন দাস বলেন, “কোভিড পরিস্থিতি মাথায় রেখে আমাদের প্রায় ১৯টি লোকাল কমিটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে। ভগবানগোলা উত্তরে সর্বোচ্চ ১৬২জন রক্ত দিয়েছেন।’’ জেলা কংগ্রেসের ও শাসকদলের তরফেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রক্তদান শিবিরের। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত। বিডিও-এসডিও-বিএমওএইচদের সঙ্গে এ ব্যাপারে বৈঠকে বসে আরও বেশি রক্তদান শিবিরের আয়োজন কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সবটাই নির্ভর করছে মানুষের সচেতনতার উপরে।”

Coronavirus blood bank
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy