নতুন বছরে নতুন নিয়মকানুনে কেবল টিভি আগের থেকে সস্তা হতে চলেছে নাকি দামি, আপাতত তা নিয়ে বিভ্রান্ত জেলার মানুষ।
অধিকাংশ কেবল অপারেটরেরা দাবি করছেন, নতুন নিয়মে কেবল টিভি দেখার জন্য পকেট থেকে বেশি টাকা ব্যয় করতে হবে। প্রতিদিন টিভি খুললেই বিভিন্ন চ্যানেলের দৈনিক রেট ফুটে উঠছে। কোনওটি দিনে ৫০ পয়সা আবার কোনওটি ১৯ টাকা। ঘোষণা করা হচ্ছে— প্যাকেজের দিন শেষ। এ বার থেকে একেকটি পে-চ্যানেল দেখার জন্য আলাদা-আলাদা রেট দিতে হবে। তাতে মধ্যবিত্তকে মাসিক বাজেট বাড়াতে হবে। পছন্দের সিরিয়াল, সিনেমা বা নাচ-গানের অনুষ্ঠানের কোনটা তা হলে দেখা যাবে, কোনটা যাবে না, কেনটায় বেশি খরচ হবে কোনটায় কম তা নিয়ে রীতিমতো বিভ্রান্ত অনেক দর্শকই। কী কী পে চ্যানেল তাঁরা বাছবেন সেটাও বুঝে উঠতে পারছেন না।
কেবল অপারেটরেরা অবশ্য দাবি করছেন, মাসে দেড়শো থেকে দু’শো টাকার বিনিময়ে রিমোটের চাবি ঘুরিয়ে কমবেশি তিনশো চ্যানেল দেখার দিন এ বার ফুরোল। এত দিন নদিয়ায় ১৫০-১৬০ টাকার বিনিময়ে এক জন গ্রাহক ১৩০-১৫০ চ্যানেল দেখতে পেতেন। আর একটু দামি প্যাকেজে ১৮০–২০০ টাকার বিনিময়ে তিনশোর উপর চ্যানেল দেখা যেত। তার মধ্যে বহু পে-চ্যানেলও ছিল। নবদ্বীপ কেবল টিভি ব্যবসায়ী সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক কমলকিশোর ঘোষ এবং তরুণকান্তি ঘোষাল জানিয়েছেন, নতুন নিয়মে কেবলের জন্য প্রতি গ্রাহককে ন্যূনতম ১৫৩.৪০ টাকা দিতে হবে। এর মধ্যে ১৩০ টাকা নেটওয়ার্ক ক্যাপাসিটি ফি এবং তার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি বাবদ ২৩.৪০ টাকা। বিনিময়ে তিনি পাবেন শুধু একশোটি ‘ফ্রি টু এয়ার’ চ্যানেল। এর অধিকাংশই এলেবেলে চ্যানেল হিসাবে চিহ্নিত। এর পর তিনি যতগুলি পছন্দের পে চ্যানেল দেখতে চান তার জন্য চ্যানেল-পিছু নির্ধারিত দাম এবং সেই দামের উপর ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি দিতে হবে। জনপ্রিয় সিরিয়াল, সিনেমা, খেলা এবং খবরের চ্যানেলগুলির প্রায় সবই পে-চ্যানেল। যার অর্থ, নতুন বছর থেকেই এক জন গ্রাহকের টিভি দেখার খরচ দ্বিগুণ হতে চলেছে। এক কেবল অপারেটরের কথায়, ‘‘৩৫০ বা ৩৭০টাকা প্যাকেজে এত দিন গ্রাহকেরা যত চ্যানেল পেতেন এখন সেটা পেতে তাঁদের প্রায় ৫০০ টাকা খরচা হয়ে যাবে।’’