Advertisement
E-Paper

বাঘ রূপী কালী, কান্দির দোহালিয়ায় দেবীকে ঘিরে অনেক কাহিনি

শোনা যায় বল্লাল সেনের আমলে এখানে এক সন্ন্যাসী ধ্যান ভঙ্গ হওয়ার পর দক্ষিণাকালীর এই মূর্তি দেখতে পান। সেই থেকে এখানে পুজো চলে আসছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২০ ২০:৪৬
ব্যাঘ্ররূপী দক্ষিণাকালী। নিজস্ব চিত্র।

ব্যাঘ্ররূপী দক্ষিণাকালী। নিজস্ব চিত্র।

প্রায় হাজার বছর ধরে মুর্শিদাবাদের কান্দির দোহালিয়ায় পুজো হয়ে আসছে ব্যাঘ্ররূপী দক্ষিণাকালীর। এখানে মা কালী বাঘ রূপে। শোনা যায় বল্লাল সেনের আমলে এখানে এক সন্ন্যাসী ধ্যান ভঙ্গ হওয়ার পর দক্ষিণাকালীর এই মূর্তি দেখতে পান। সেই থেকে এখানে পুজো চলে আসছে।

মন্দিরের সেবাইত প্রকাশ চট্টোপাধ্যায় জানান, “এক হাজার বছর আগে বল্লাল সেনের আমলে কোনও এক পরিব্রাজক সন্ন্যাসী নদী পথে ভ্রমণ করছিলেন। মাঝে এখানে বসে তপ্যসা করছিলেন। ধ্যানের সময় তাঁর পরীক্ষা নিতে নানা রূপ ধারণ করে তাঁর সামনে আসতে থাকেন মা কালী। শেষে সন্ন্যাসী যখন চোখ খোলেন, তখন সামনে বাঘ রূপী দক্ষিণাকালী মূর্তি দেখতে পান। সেই থেকে এখানে কালী পুজো হয়ে আসছে”।

মন্দিরের আর এক সেবাইত বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কথিত আছে অন্য এক অন্ধ পরিব্রাজক সাধক এই কালী মন্দিরের গাছের তলায় তপ্যসা করছিলেন। তাঁর তপস্যায় তুষ্ট হয়ে দক্ষিণাকালী তাঁকে দেখা দেন। সেই সঙ্গে দক্ষিণাকালীর আশীর্বাদে পরিব্রাজক দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান। সেই থেকে বিভিন্ন জায়গার মানুষ আসেন এখানে। মন্দির সংলগ্ন পুকুরে স্নান করে গাছের শিকড় নেন। বিশ্বাস এতে দৃষ্টি শক্তি ফিরে পাওয়া যায়।” আর এক সেবাইত পলাশ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “কালীপুজোর রাতে দোহালিয়া গ্রামে অন্য কোনও পুজো হয় না। গ্রামের এই একটি মন্দিরেই কেবল পুজো হয়”।

আগে এই গোটা এলাকা জঙ্গল ছিল। তার মধ্যেই ছিল মন্দিরটি। আস্তে আস্তে পরিবর্তন আসে গোটা এলাকায়। এখন আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে মন্দির সংলগ্ন গোটা এলাকায়।

Murshidabad Kali Puja Kandi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy