প্রতীকী ছবি।
চলন্ত মোটরবাইক থেকে ফেসবুকে লাইভ ভিডিও করছিলেন তিনি। কিন্তু টাল সামলাতে পারেননি। ছিটকে পড়েন। পিছন থেকে আসা একটি ছুটন্ত লরি ঘটনাস্থলেই পিষে দেয় তাঁকে। ঘটনাস্থলেই মারা যান জিশান আলির (১৯)।
ধুলিয়ানের ডাকবাংলোর কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে রবিবার রাতে এই দুর্ঘটনায় অবশ্য বাইকচালক জিশানের বন্ধু সামিরুল ইসলামের কোনও আঘাত লাগেনি। ধরা পড়েনি ট্ট্রাক চালকও।
ফেসবুক নিয়ে বরাবরই উৎসাহী ছিল জিশান। তার ফেসবুক নাম ‘প্রিন্স জিশান’। ফেসবুকে বন্ধুর সংখ্যাও নেহাত কম ছিল না তার। দুর্ঘটনার পর সেই লাইভেও শেয়ার পড়েছে কয়েক শো। সামিরুল জানান, বাইক চালাচ্ছিলেন তিনি। পিছনে উল্টোমুখ করে বসে ভিডিও করছিল ওই সদ্য যুবা। সেই সময়েই হঠাৎ টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যায় সে।
বন্ধুরা জানিয়েছে, সবাই মিলে এক সঙ্গে হোটেলে বিরিয়ানি খেতে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। অপেক্ষাতেই ছিল সবাই। সেই সময় সামিরুল গাড়িতে তেল ঊভরতে যায়। পিছনে উঠে বসে জিশানও। তার পরেই শুরু হয় তার লাইভ ভিডিও। পেট্রোল পাম্পের পথেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। শুধু লাইভ ভিডিও নয়, ওইটুকু সময়ের মধ্যে বন্ধুদের সেই ভিডিও পাঠিয়েও দিয়েছিল সে। এক বন্ধুর কথায়, ‘‘ভাবতেই পারিনি তার একটু পরেই মারা যাবে জিশান।’’
শমসেরগঞ্জের ওসি অমিত ভকত বলেন, “লরিটি দুর্ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ায় ধরা যায়নি। লরির ধাক্কায় মৃত্যু হলেও চলন্ত বাইক থেকে এই ধরণের ফেসবুক লাইভ করে বিপদ বাড়িয়েছিল ওই যুবক নিজেই।’’
পুলিশের ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ নিয়ে সর্বত্র প্রচার চলছে। হেলমেট পড়ার ব্যাপারেও সচেতন করা হচ্ছে। এ নিয়ে স্কুল ও কলেজগুলিতেও প্রচার কম হয়নি। তা সত্বেও এই সচেতনতার ঘাটতি কেন তা নিয়েই বিস্মিত জেলার
পুলিশ কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy