পুজো মিটে গিয়েছে, কিন্তু জুলুমের অন্ত নেই।
এবং এ ক্ষেত্রেও পুলিশ, নির্বিকার গলায় জানাচ্ছে— ‘অভিযুক্তদের না পেলে ধরব কাকে?’
দাবি ছিল এগারোশো টাকা চাঁদা। কিন্তু অত টাকা দিতে পারেননি কৃষ্ণনগরের এক মুদি ব্যবসায়ী।
আর সে জন্যই তাঁকে বেধড়ক মারধর করে ‘শাস্তি’ দিল স্থানীয় একটি ক্লাবের জনা কয়েক ছেলে।
বুধবার রাতে এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে, ঘটনাস্থলে গিয়েও পুলিশ গেলেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
কৃষ্ণনগর পুসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সন্ধ্যা দাস পাড়ায় নবীন ইমুলর মুদিখানা নতুন নয়। তাঁর অভিযোগ, দিন কয়েক আগে দোকানে এসে মোটা অঙ্কের টাকা চাঁদা চেয়ে গিয়েছিল স্থানীয় ক্লাব ভ্রাতৃ সঙ্ঘের ছেলেরা। নবীনবাবুর বাড়ির নিচেই তার মুদিরদোকান। গত বছরও তার কাছ থেকে এক হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছিল ওই ক্লাব। এ বছর সেটা বাড়িয়ে এগারশো টাকা করা হয়। তিনি জানান, দিন কয়েক আগে স্ত্রীর গলব্লাডারে অপারেশন হয়েছে। এ বার তাই ছ’শো টাকার বেশি দিতে রাজি হননি। আর তাতেই ক্লাবের ছেলেদের রোষানলে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
অভিযোগ, বুধবার সকালের ক্লাবের ছেলেরা চাঁদা চাইতে এসে ফের ওই একই অঙ্করে টাকা দাবি করায়। তিনি ছ’শো টাকা বের করে দেওয়া মাত্র দোকানেই তাঁর উপরে চ়ডাও হয়ে শুরু হয় মারধর। মালপত্র ফেলে দেওয়া হয়। এমনকতী তাঁর মেয়েকে ‘দেখে নেওয়া’র হুমকিও দেওয়া হয়।
যদিও ওই ক্লাবের সদস্যরা এই ঘটনা অস্বীকার করেছে। ক্লাবের কর্মকর্তা কার্তিক দাস ফোনে বলেন, “সবটাই মিথ্যে কথা। সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছি, এইটুকুই।’’