সভা: আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র
যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় জেলার অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রাতিষ্ঠানিক স্বশক্তিকরণ প্রকল্পের টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আগামী আর্থিক বছরে সব পঞ্চায়েত যাতে টাকা পায়, তা নিয়ে উদ্যোগী নিল জেলা প্রশাসন। পঞ্চায়েতগুলি কী ভাবে ঘাটতি কাটিয়ে উঠবে তা নিয়ে জেলার সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের সরকারি আধিকারিকদের বৈঠকে ডাকা হল শনিবার। জেলাশাসক পি উলগানাথন ছাড়াও রাজ্যে এই প্রকল্পের নির্দেশক সৌম্য পুরকাইত উপস্থিত ছিলেন।গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে শক্তিশালী করতে ২০১০ সালে রাজ্যের ন’টি জেলায় ১০০০ গ্রাম পঞ্চায়েতকে এই পাঁচ বছরের প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছিল। গত বছর ৩০ জুন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কর্মসূচি শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কর্মসূচি ২০১৭-২২ সাল পর্যন্ত হবে। তাতে মুর্শিদাবাদ জেলাও যুক্ত হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে সুবিধা পেতে হলে ১) গ্রাম পঞ্চায়েতের আগের আর্থিক বছরের তুলনায় আয় বৃদ্ধি পেতে হবে। ২) গ্রাম পঞ্চায়েতের হিসাবরক্ষণ এবং আর্থিক ব্যবস্থায় গোলমাল থাকা চলবে না। ৩) ৩১ জানুয়ারির মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের পরিকল্পনা ও বাজেট পাশ করতে হবে। এই তিনটি শর্ত পূরণ করতে পারলে তবেই টাকা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবে পঞ্চায়েত। যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে বছরে ৫০-৮০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। চলতি আর্থিক বছরে ২৫০টি পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র ৫৪টি যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছে।
আগামী আর্থিক বছরে কারা টাকা পাবে, শীঘ্রই তার মূল্যায়ন করবে রাজ্যের নিযুক্ত একটি বেসরকারি সংস্থা। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি, নতুন প্রকল্প হওয়ায় এ বছর জেলার পঞ্চায়েতগুলি পিছিয়ে আছে। আগামী বছর যাতে সব পঞ্চায়েত এই প্রকল্পের সুবিধা পায়, তার জন্য প্রশিক্ষণ শুরু হবে। এই মাসেই গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তাদের নিয়ে তিন দিন প্রশিক্ষণ শিবির করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy