নশিপুর রেলসেতুতে চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। — নিজস্ব চিত্র।
মুর্শিদাবাদের নশিপুর রেলসেতুর শেষ মুহূর্তের কাজের জন্য মঙ্গলবার, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার বিঘ্নিত হবে আজিমগঞ্জ-কাটোয়া রুটে ট্রেন চলাচল। এর জেরে বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু ট্রেন। রেল সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এই সেতুর উপর দিয়ে এক বার ট্রেন চলাচল পুরোদমে শুরু হয়ে গেলে কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গ যাতায়াতের সময় কমবে দু’ঘণ্টারও বেশি।
পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুর্শিদাবাদ ও আজিমগঞ্জ স্টেশনের মাঝে কাজের জন্য ইএমইউ লোকালগুলি বাতিল থাকবে। ঘটনাচক্রে, ভাগীরথী নদীর উপর নশিপুর রেলসেতুর মাধ্যমেই জুড়ে যাচ্ছে আজিমগঞ্জ ও মুর্শিদাবাদের স্টেশন। কিন্তু এ জন্য আগামী তিন দিন ধরে বাতিল করতে হয়েছে একাধিক লোকাল ট্রেন। ট্রেন বাতিলের কারণে ভোগান্তির সম্ভাবনা রয়েছে মানুষের। মঙ্গলবার আজিমগঞ্জ থেকে বাতিল করা হয়েছে নলহাটি-আজিমগঞ্জ মেমু প্যাসেঞ্জার, আজিমগঞ্জ-নিমতিতা এক্সপ্রেস স্পেশাল, আজিমগঞ্জ-রামপুরহাট মেমু, আজিমগঞ্জ-রামপুরহাট এক্সপ্রেস স্পেশাল, আজিমগঞ্জ-রামপুরহাট এক্সপ্রেস, আজিমগঞ্জ-কাটোয়া মেমু স্পেশাল, আজিমগঞ্জ-কাটোয়া এক্সপ্রেস। নলহাটি থেকে বাতিল করা হয়েছে নলহাটি-আজিমগঞ্জ মেমু স্পেশাল। নিমতিতা থেকে বাতিল হয়েছে কাটোয়া-নিমতিতা স্পেশাল। এ ছাড়াও বাতিল হয়েছে দু’জোড়া এক্সপ্রেস ট্রেন। এ ছাড়া রামপুরহাট এবং আহমেদপুর থেকেও বাতিল করা হয়েছে একাধিক ট্রেন। শুধু মঙ্গলবারই নয়, রেলসেতুর চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজের জন্য বুধ এবং বৃহস্পতিবারও বাতিল থাকবে একাধিক ট্রেন।
২০০৪ সালে নশিপুর-আজিমগঞ্জ রেলসেতুর শিলান্যাস করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব। ২০১০ সালে রেলসেতুটি চালু হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত উদ্বোধনের পর পেরিয়ে গিয়েছে আরও ১৪ বছর। এখনও চালু হয়নি রেলসেতু। তবে লোকসভার আগে সেতু চালু করে দেওয়া নিয়ে কার্যত নিশ্চিত রেলকর্তারা। তাঁদের দাবি, ‘কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি’ এই সেতু ঘুরে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। ফলে ফিতে কাটা এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। যদিও এখনও উদ্বোধনের দিন ঘোষণা করেনি রেল।
রেলের দাবি, জমি জটের কারণে দীর্ঘ সময় থমকে ছিল রেলসেতুর নির্মাণকাজ। জট কাটিয়ে ২০২২ সালে ফের শুরু হয় কাজ। ২০২৩ সালে কাজের গতি বাড়ে। মাঝে সেতু ঘুরে দেখেছেন নেতা থেকে রেলের আধিকারিকেরা। রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে ডিসেম্বরে। শেষ মুহূর্তের কাজের বহরে জেলার মানুষ আশাবাদী, লোকসভা ভোটের আগে এই লাইনে ছুটবে ট্রেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy