প্রতীকী ছবি।
একযুগ ধরে চলছে লড়াই। পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ? হেন কোনও জায়গা যেখানে আবেদন নিবেদন করা হয়নি। কিন্তু কথা রাখেনি কেউ। এ বার তাই আর অপেক্ষা নয়, শ্মশান গড়তে নেমে পড়লেন জলঙ্গির সাগরপাড়ার মানুষ।
তাঁদের কথায়, ‘‘ঢের হয়েছে, কেউ কথা রাখেনি। এ বার নিজেদের কাজ নিজেদেরই সারতে হবে।’’প্রায় দেড় লক্ষ টাকা দিয়ে ছয় কাঠা জমি কেনা হয়েছে। পদ্মার পাড়ে জামালপুরে ওই শ্মশান গড়তে যাবতীয় প্রস্ততি শেষ। আগামী মার্চ মাসের শ্মশান তৈরির কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যে কেউ বালি, সিমেন্ট বা ইট দিতে রাজি হয়েছেন।
শ্মশান কমিটির সদস্য অসীম হালদার জানান, ওই এলাকায় কোনও শ্মশান নেই। দেহ দাহ করতে হলে বহরমপুর দৌড়তে হয়। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষের কথা ভেবে দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনের দোরে দোরে ঘুরছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই গ্রামের সকলে মিলে সিদ্ধান্ত নেন নিজেরাই শ্মশান গড়বেন।
বিড়ি বেধে সংসার চলে সর্বাণী মণ্ডলের। ২০০ টাকা চাঁদা দিয়েছেন জমি কিনতে। তিনি জানান, বাড়ির কাছে একটা শ্মশান থাকলে খুব ভাল হয়। অনেক পরিবার আছে যাঁদের সাধ্য নেই বহরমপুরে দাহ করতে যাওয়ার। তাঁদের কথা ভাবা দরকার ছিল প্রশাসনের। কিন্তু তারা ভাবেনি। ফলে তাঁরা এ বার নিজেদের ভাবনা নিজেরাই ভেবেছেন।
স্থানীয় পঞ্চায়েত জানিয়েছে, জেলা পরিষদ উদ্যোগী না হলে পঞ্চায়েতের পক্ষে আধুনিক চুল্লি বা অনান্য পরিকাঠামো তৈরি করা সম্ভব নয়। সাগরপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের রেক্সনা বিবি শুনিয়েছেন, ‘‘চেষ্টা চালাচ্ছি, শ্মশানের জন্য কি করা যায় সেটা আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। একটা শ্মশান এই এলাকায় খুব জরুরি।’’
তবে জলঙ্গি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সিপিএমের সাইফুল মোল্লার দাবি, ‘‘আমার কাছে ওই এলাকা থেকে এমন কোনও আবেদন এসেছে বলে মনে নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy