Advertisement
১৬ অক্টোবর ২০২৪

দশমীতে কুপিয়ে খুন স্কুলশিক্ষক-সহ শিশুপুত্র ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির মধ্যে ঢুকে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তাদের তিন জনকেই। ঘরের মধ্যে আলমারি খুলে কিছু খোঁজার চেষ্টাও করা হয়।

সপরিবারে বন্ধুপ্রকাশ। —ফাইল চিত্র

সপরিবারে বন্ধুপ্রকাশ। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা 
জিয়াগঞ্জ ও সাগরদিঘি শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৯ ০১:২৬
Share: Save:

দশমীর দুপুরে নিজের বাড়িতেই নৃশংস ভাবে খুন হলেন একই পরিবারের তিন জন। মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের সদরঘাট লাগোয়া লেবুবাগানে বেলা ১২ নাগাদ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় পেশায় স্কুলশিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল (৪০), তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি পাল (৩০) ও পুত্র অঙ্গনের (৫) দেহ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির মধ্যে ঢুকে হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তাদের তিন জনকেই। ঘরের মধ্যে আলমারি খুলে কিছু খোঁজার চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু কেন এই খুন, পুলিশ সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অন্ধকারে। এই ঘটনার পরেই বাড়িতে এসেছিলেন দুধওয়ালা রাজীব দাস ও তার বন্ধু বিব্রত সরকার। রাজীব পুলিশকে জানান, বাড়ির দরজা ঠেলতেই তা খুলে যায়। ঘরে ঢুকেই তিনি দেখেন ডানপাশের ঘরে খাটের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুপ্রকাশ পড়ে রয়েছেন। তখনও বাড়ির মধ্যেই ছিল আততায়ী। রাজীবের চিৎকার শুনেই পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় সে। রাজীব বলেন, “কালো গেঞ্জি ও প্যান্ট পরা ওই যুবক পাশের ঘর থেকে বেরিয়ে পালিয়ে যায়। তাকে ধরতে ছুটে গেলেও ধরা যায়নি।” ইতিমধ্যেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। দেখা যায় বন্ধুপ্রকাশের ঘরে মেঝেয় পড়ে রয়েছে ছেলের মৃতদেহ। পাশের ঘরে খাটের পড়ে স্ত্রী বিউটির দেহ।

প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, জিয়াগঞ্জের বাড়ি নিয়ে পারিবারিক বিরোধ থেকেও এই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। যে রকম নৃশংস ভাবে তিন জনকেই খুন করা হয়েছে তা কোনও তীব্র আক্রোশের বদলা বলে মনে করছে পুলিশ। এর সঙ্গে কোনও পেশাদার খুনিরও যোগ থাকতে পারে। যাকে প্রত্যক্ষদর্শীরা পালিয়ে যেতে দেখেন সে তাঁদের সম্পূর্ণ অপরিচিত।

নিহত বন্ধুপ্রকাশের মামার বাড়ি সাগরদিঘির সাহাপুর গ্রামে। সেখানেই মামার কাছে মানুষ তিনি। মা মায়ারানি পালও সেখানেই থাকেন। সাহাপুর প্রাথমিক স্কুলেই ২০০৫ সাল থেকে চাকরি করতেন বন্ধুপ্রকাশ। বিয়ে করেন বছর ছয় আগে। বহু দিন আগে জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানে একটি জমি কিনেছিলেন তাঁর মা। বছর দেড়েক আগে সেখানেই বাড়ি তৈরি করে চলে যান তিনি। রবিবার অষ্টমীর দিন সাহাপুরেরও গ্রামের বাড়িতে সারাদিন কাটিয়ে সন্ধ্যায় ফিরে যান জিয়াগঞ্জের বাড়িতে। তার পরেই মঙ্গলবার খুন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE