Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ছেলের মারধরে মৃত্যু বাবার

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের সদস্য গোপাল, তাঁর স্ত্রী এবং একমাত্র ছেলে-সহ তিনজনেই নিয়মিত মদ্যপান করেন। কার্তিকও প্রায় প্রতিদিনই মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরত। ওই দিন ছেলে বাড়ি ফেরার আগেই গোপালবাবু ও শোভাদেবী রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।

—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সালার শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:২২
Share: Save:

স্বছেলে মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছিল। মায়ের কাছে রাতের খাবার চাইলে বাবা গোপাল মাঝি (৬১) জানিয়ে দেন, এভাবে জীবন যাপন করলে বাড়িতে থাকা চলবে না। এ নিয়ে বাবা-ছেলের প্রথমে বচলা বেধেছেল। পরে দু’জনের মারপিট বেধে যায়। অভিযোগ, সেই সময় বাবাকে বেধড়ক কিল-ঘুষি মারা ছাড়াও বাঁশ দিয়ে পেটায় ছেলে কার্তিক। তাতেই মৃত্যু হয়েছে গোপালের। বুধবার রাতে সালার থানার দত্তবরুটিয়া গ্রামের ঘটনা।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের সদস্য গোপাল, তাঁর স্ত্রী এবং একমাত্র ছেলে-সহ তিনজনেই নিয়মিত মদ্যপান করেন। কার্তিকও প্রায় প্রতিদিনই মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরত। ওই দিন ছেলে বাড়ি ফেরার আগেই গোপালবাবু ও শোভাদেবী রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। অনেক রাতে কার্তিক বাড়ি ফিরেই চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন। এত রাতে বাড়ি ফেরার কারণ ছেলের কাছে জানতে চেয়েছিলেন গোপালবাবু। এ নিয়েই দু’জনের বচসা বেধে যায়। গোপালবাবু কার্তিককেক সাফ জানিয়ে দেন, এবার থেকে তাকে রোজগারের পথ দেখতে হবে। এতেই জ্বলে ওঠে কার্তিক। লাঠি নিয়ে বাবাকে পেটাতে থাকে কার্তিক। সেই সময় শোভাদেবী স্বামীকে বাঁচাতে ছুটে গিয়েছিলেন। ছেলেকে তিনি আটকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু লাভ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত গোপালকে উদ্ধার করে সালার গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। বৃহস্পতিবার সকালে শোভাদেবী ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন থানায়। পুলিশ কার্তিককে এ দিন দুপুরে গ্রেফতার করেছে। স্থানীয় বাসিন্দা বীরবল মাঝি বলেন, “রাতে ছেলে বাড়ি ফিরতেই অশান্তি বেধে যায়। কিন্তু এভাবে যে বাবাকে মেরে ফেলবে ছেলেটা, ভাবতেও পারেনি।” পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Torture Crime Intolerance
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE