৪ মাসের এক শিশুকন্যাকে খুনের অভিযোগে ওই শিশুর বাবা, জেঠু ও ঠাকুমাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শিশুটির নাম পিউ শীল। বাড়ি ভীমপুরের ঝোড়পাড়া এলাকায়। বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
শিশুটির মামার বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শিশুকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। শনিবার রাতে শিশুর মা পপি শীলের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবা রাজা শীল, জেঠু রাজু শীল ও ঠাকুমা জ্যোৎস্না শীলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বছর চারেক আগে আসাননগর চাঁদেরকোল এলাকার বাসিন্দা পপির সঙ্গে বিয়ে হয় পেশায় টোটোচালক রাজা শীলের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে রাজা পণের জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে পপির উপরে অত্যাচার শুরু করে। রাজার নেশা করা ও এক নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও পপির সঙ্গে অশান্তি লেগেই থাকত।
মাস চারেক আগে জন্ম হয় পিউয়ের। অভিযোগ, তার পরেও পপির উপরে অত্যাচার কমা তো দূরের কথা, আরও বেড়ে যায়। অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকেলেও পপিকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। পপির কাকিমা নীল বিশ্বাসের অভিযোগ, “পপি বাচ্চাটাকে নিয়ে আসছিল। কিন্তু ওরা বাচ্চাটাকে কোল থেকে কেড়ে নেয়। পরে জানতে পারি যে, বাচ্চাটা মারা গিয়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে অসুস্থ বাচ্চাটিকে নিয়ে আসা হয় আসাননগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় জেলা সদর হাসপাতালে। চিকিৎসকেরা শিশুটিকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। তার দেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরই মধ্যে পপি তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, তাঁর মেয়ে মারা গিয়েছে। তখনই তিনি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু শক্তিনগর পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্ত না করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। শুক্রবার সেখানেই তার ময়নাতদন্তে হয়। শিশুটির মা পপি শীলের অভিযোগ, “আমার মেয়ে পুরোপুরি সুস্থ ছিল। এক রাতের মধ্যে কী এমন অসুখ করল যে কোনও রকম চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মারা গেল?” পপির অভিযোগ, “মেয়েকে ওরা একেবারেই ভালবাসত না। সেই কারণেই ওরা সকলে মিলে আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে।” জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘শিশুটির মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক ভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’ ধৃতদের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy