Advertisement
E-Paper

সীমান্তে অসমাপ্ত কাঁটাতার

সীমান্তে পাচার নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের চাপানউতোর দীর্ঘ দিনের। রাজ্যের প্রশ্ন, সীমান্তে পাহারায় থাকে বিএসএফ। তাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পাচার কী করে সম্ভব?

সুস্মিত হালদার

শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৯:৩২
পাহারা: সীমান্ত কাঁটাতারে ঘিরতে জমি চাইছে বিএসএফ।

পাহারা: সীমান্ত কাঁটাতারে ঘিরতে জমি চাইছে বিএসএফ।

জমিজটে সীমান্তের বেশ কিছু এলাকায় কাঁটাতার দেওয়ার কাজ আটকে আছে এখনও। নদিয়া জেলার বাংলাদেশ সীমান্তে বেশির ভাগ জায়গায় কাঁটাতার দেওয়া। তবে এখনও বেশ কিছু এলাকায় কাঁটাতার না থাকার সুযোগ নিয়ে পাচার চালিয়ে যাচ্ছে চোরা কারবারিরা। যা নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে চাপানউতোর চলছে। পাশাপাশি, পরস্পরের দিকে আঙুল তোলে বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশ। কয়েক বছর ধরে এই ফাঁকা জায়গায় জমি কেনার উদ্যোগ শুরু হলেও সে ভাবে কাজ এগোয়নি। নানা জটিলতা কাটিয়ে উঠে সম্প্রতি সেই জমি কেনার কাজ শুরু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, বছরখানেকের মধ্যে তাঁরা জমি কিনে বিএসএফ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে পারবেন।

সীমান্তে পাচার নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের চাপানউতোর দীর্ঘ দিনের। রাজ্যের প্রশ্ন, সীমান্তে পাহারায় থাকে বিএসএফ। তাদের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পাচার কী করে সম্ভব? আবার, বিএসএফের দাবি, রাজ্যে পুলিশের চোখকে কী করে ফাঁকি দিয়ে গরু বা অন্যান্য পাচার সামগ্রী সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে যায়? কেন তার আগেই পাচার আটকাচ্ছে না পুলিশ?

সেই সঙ্গে তাদের দাবি, অনেকটা জায়গা জুড়ে কাঁটাতারের বেড়া না থাকার সুযোগ নিয়েই পাচারকারীরা চোরাচালান চালিয়ে যেতে পারছে। কোনও ভাবেই পাচার পুরোপুরি আটকানো যাচ্ছে না। তাদের অভিযোগ, রাজ্য জমির ব্যবস্থা করে দিতে পারছে না বলেই ওই সমস্ত সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া যাচ্ছে না। আবার, অনেক সময়ে জেলা প্রশাসনের কর্তারা দাবি করেন, মানুষকে উপযুক্ত দাম না দেওয়ার কারণেই জমি পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে সম্প্রতি যাবতীয় জটিলতা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত বিএসএফের জন্য জমি কেনা শুরু করে দিয়েছে জেলার ‘২০১৩ ল্যান্ড পারচেজ কমিটি’। যার চেয়ারম্যান স্বয়ং জেলাশাসক। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএসএফের তরফে জেলা প্রশাসনের কাছে তাদের প্রয়োজনীয় জমির কথা জানিয়ে দেয়। সেই অনুযায়ী বিএসএফ ও ল্যান্ড পারচেজ কমিটি মিলে যৌথ ভাবে জায়গাগুলি খতিয়ে দেখে। সেই মতো জায়গা চিহ্নিত করে কমিটি সেই সকল জমি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে জমির দাম নির্ধারণ করে তা বিএসএফ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়। সেই মতো বিএসএফ কর্তৃপক্ষ টাকা বরাদ্দ করলে ওই কমিটি মালিকদের কাছ থেকে জমি কিনে তা হস্তান্তর করে দেয়।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “কাজটা মোটেও সহজ নয়। বহু জায়গাতেই আইনি জটিলতা ছিল। জমির দরদাম নিয়েও মতপার্থক্য ছিল। জমি মালিকদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা এবং সহমতের ভিত্তিতে জমি কেনা চলছে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘এরই মধ্যে বেশ কিছু জমি কিনে বিএসএফকে হস্তান্তর করে দেওয়া হয়েছে। কিছু জমির টাকা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিএসএফ কর্তৃপক্ষ তা বরাদ্দ না করায় বেশ কিছু এলাকায় কাজ থমকে রয়েছে।’’

‘২০১৩ ল্যান্ড পারচেজ কমিটি’-র সচিব সৌমেন দত্ত বলেন, “যে জমির টাকা আমরা এরই মধ্যে হাতে পেয়ে গিয়েছি, সেই সমস্ত জমি কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আশা করছি, বছরখানেকের মধ্যে আমরা জমি কিনে বিএসএফের হাতে তুলে দিতে পারব।”

Krishnanagar Indo Bangladesh Border
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy