বেদখল: করিমপুর বাজারে।
তরমুজ, শসা, ডজন খানেক ডাব, গাদাগুচ্ছের কলার কাদিতে ফুটপাথে দাঁড়ানোর তিলমাত্র জায়গা নেই। ফলের দোকানের গা ঘেঁষেই শৌখিন জুতোর স্টল। ফুটপাথটা যে কোথায়, ভাল করে না দেখলে কার্যত বোঝারই উপায় নেই।
কোথাও দোকানের মালপত্র তো কোথাও সার দেওয়া সাইকেল, মোটরবাইক বা ভ্যান রিক্সা দখল নিয়েছে পথের। শুধু তা-ই নয়, ধীরে ধীরে তা এগিয়ে আসছে মূল রাস্তাতেও। চওড়া রাস্তা সংকীর্ণ হচ্ছে দিন দিন। বাড়ছে যানজট, আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুর্ঘটনা।
অথচ ভ্রূক্ষেপ নেই স্থানীয় দোকানদার, প্রশাসন কিংবা পুলিশের। করিমপুর, নাজিরপুর কিংবা তেহট্ট বাজারের এই এক চেহারা। করিমপুরের বাসিন্দা দুর্গা সাহার অভিযোগ, বছর দুয়েক আগে করিমপুর বাজারে রাস্তার পাশে বেশ কিছু ফুটপাথ তৈরি হয়েছিল। এতে চলাচলেও বেশ সুবিধা হয়েছিল পথচলতি সাধারণ মানুষের। যানজটের সমস্যাও কমেছিল। কিন্তু সময়ের চাকা ঘুরতে না ঘুরতে ফের পুরনো চেহারা। ফুটপাথের দখল নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। বাধ্য হয়ে মানুষকে নামতে হয়েছে রাস্তায়।
করিমপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিধান দত্তের অভিযোগ, পথ দুর্ঘটনা রুখতে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। অথচ ফুটপাত খালি না করলে বাজারের যানজট কমবে না। ঘটবে পথদুর্ঘটনাও। সমিতির পক্ষ থেকে বারবার ব্যবসায়ীদের ফুটপাথ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কেউ কোনও কথা শোনেন না।
ফুটপাথ দখলমুক্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন করিমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তারক সরখেল। তারকবাবু বলেন, “রাস্তার উপরের দোকান সরিয়ে এক সময় ফুটপাথ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই যে কে সেই।”
এমনই এক ‘অভিযুক্ত’ ফল ব্যবসায়ী অন্তু মুন্সির সহজ স্বীকারোক্তি, ‘‘দোকানের জায়গা খুব ছোট। তাই মাঝেমাঝে দোকানের ফল বিক্রির জন্য ফুটপাথেই রাখতে হয়।’’
বিষয়টি নিয়ে এক রকম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন তেহট্টের মহকুমা শাসক সুধীর কোন্তম। তিনি বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে খুব শীঘ্র উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy