গাংনাপুরের যুব তৃণমূল নেতা অরুণ সিকদার খুনের ঘটনায় দলেরই প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হল। খুনের পরে পরেই গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ উঠেছিল। এই অভিযোগে সেই গোষ্ঠী রাজনীতির চেহারাই প্রকট হল বলে মনে করছেন দলেরই একাংশ।
নিহতের স্ত্রী রুম্পা সিকদার মঙ্গলবার দেবগ্রামের প্রাক্তন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান অজয় রায়-সহ আট জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। খুনের ঘটনার পর চব্বিশ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ সুপার শিষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “ওই খুনের ঘটনায় কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে । কয়েকটি সুত্র ধরে এগোন হচ্ছে । আশা করছি খুব শীঘ্রই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।’’
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে গাংনাপুর স্টেশন বাজার এলাকায় অরুনবাবুকে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করে দুস্কৃতিরা।
কেন খুন হলেন অরুনবাবু? এলাকার এক তৃনমূল কর্মী জানিয়েছেন, উপ-প্রধান হওয়ার পর থেকেই তিনি নানাভাবে নিজের ক্ষমতা জাহির করতে শুরু করেছিলেন। তাঁর দাপটে, দলের বহু পুরনো কর্মী হালে পানি পাচ্ছিলেন না। বিভিন্ন পথে রোজগারের যে সুযোগ রয়েছে, সে ধান্ধাও নাকি ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছিল।
অন্যদিকে এলাকায় একদল ছেলেকে নিয়ে দাদাগিরি করার অভিযোগ ছিল অরুণবাবুর বিরুদ্ধে। দলের একটি গোষ্ঠী গত কয়েক বছরে অরুনবাবুর সঙ্গে দুরত্ব তৈরি করে নিয়েছিলেন।
দলের নেতাদের একাংশ গোষ্ঠী কোন্দলের কথা মানতে না চাইলেও, গাংনাপুরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, ওই তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য মোটেও ভুল নয়।
তবে অরুণবাবু খুনের ঘটনায় এলাকার দলীয় কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। কার্যত তা স্বীকার করে নিয়েছেন রানাঘাট দক্ষিণের প্রাক্তন তৃনমূল বিধায়ক আবীর রঞ্জন বিশ্বাস।
আবীরবাবু বলেন, “দলের কর্মীদের একাংশ চরম আতঙ্কে রয়েছেন। তাঁদের ভয় দূর করতে বুধবার বিকেলে আলোচনায় বসা হবে। সেখানেআগামী দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচী ঠিক করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy