—প্রতীকী চিত্র।
মোবাইল গেমের পাসওয়ার্ড নিয়ে গন্ডগোল দুই বন্ধুর মধ্যে। সেই ঝগড়া গড়াল খুনে। স্কুলপড়ুয়াকে খুনের ঘটনায় তার দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার ঘটনা।
বৃহস্পতিবার সকালে নাকাশিপাড়ার পাটিকাবাড়ির একটি আমবাগান থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ১৪ বছর বয়সি প্রীতম বিশ্বাসের দেহ উদ্ধার হয়। শোরগোল শুরু হয় সাড়া পাড়ায়। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রীতমের দুই বন্ধুর খোঁজ পায় পুলিশ। তারা প্রীতমের সঙ্গে নিয়মিত ভাবে একটি মোবাইল গেম খেলত। দুই পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে দুই কিশোরই স্বীকার করে নিয়েছে খুনের কথা। গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বিশেষ অনলাইন গেম খেলতে দক্ষ ছিল মূল অভিযুক্ত এক নাবালক। কিন্তু তার নিজের মোবাইল ছিল না। পরিবারের কারও মোবাইল নিয়ে গেম খেলত। কয়েক দিন আগে দাদার সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় তার মোবাইলটি আর হাতে পেত না কিশোর। তখন প্রীতমের মোবাইল থেকে ‘ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড’ দিয়ে ওই গেমিং অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্টিভেট করে সে। অন্য দিকে, প্রীতমও মোবাইল গেমে আসক্তি ছিল। তার মোবাইলে গেম খেলে বন্ধু একের পর এক ‘টার্গেট’ পূরণ করছে দেখে রাগ হয় প্রীতমের। সে মোবাইল গেমের পাসওয়ার্ড বদলে দেয়। অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছে সে বার বার বন্ধুকে বলেছিল নতুন পাসওয়ার্ড বলতে। কিন্তু কিছুতেই তা দিতে চায়নি প্রীতম। সে নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে আর এক বন্ধুকে নিয়ে সে প্রীতমকে মারধর করে। তাতেই প্রাণ গিয়েছে নাবালকের।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুই নাবালক মিলে পরিকল্পনা করে খুন করেছে স্কুলছাত্রকে। প্রথমে প্রীতমের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পরে শ্বাসরোধ করা হয়। শনিবার দু’জনকে আদালতে হাজির করানো হয়। ওই ঘটনা নিয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ বলেন, ‘‘মোবাইল গেমের পাসওয়ার্ড সংক্রান্ত বিবাদের জেরে কিশোরকে তার দুই বন্ধু খুন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy