তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল সুতির মধুপুর। জমির দখলকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুর আড়াইটে থেকে টানা দু’ঘণ্টা ধরে ওই সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষের সময় ছোড়া বোমায় এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা-সহ ৩ জন আহত হন। তাঁদের মহেশাইল ও জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার পরে এলাকায় সশস্ত্র পুলিশ টহল দিলেও এখনও পর্যন্ত কেউ ধারা পড়েনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামে রাস্তার পাশে ১৪ কাঠা জমি রয়েছে। সেই জমির দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই নেতা, সানাউল হক ও মোর্তুজ আলির গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। অভিযোগ, দুই পক্ষই বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসেছিল।
পুলিশ জানায়, ১৪ কাঠা ওই সম্পত্তির মালিক ছিলেন এক বৃদ্ধা। তিনি মারা যাওয়ায় তৃণমূলের দু’পক্ষেরই দাবি ওই জমির মালিকানা এখন তাদের। দু’পক্ষই অন্তত বার চারেক জমিটি দখল করেছে। অভিযোগ, পুলিশের সাহায্য নিয়ে কিছুদিন আগে জমিটি বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে নেন মোর্তুজ আলি। শনিবার সানাউল দলবল নিয়ে সেই বাঁশের বেড়া ভেঙে দুপুর আড়াইটে নাগাদ জমিটির দখল নিতে আসে। খবর পেয়ে বাধা দেয় মোর্তুজ আলির দলবল। তারপরই শুরু হয়ে যায় বোমাবাজি। বোমার আতঙ্কে ঘর ছেড়ে পালাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। দুটি গাড়ি নিয়ে পুলিশ গেলেও বোমাবাজির দাপটে দীর্ঘক্ষণ গ্রামে ঢুকতেই পারেনি তারা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বোমাবাজি বন্ধ হয়।
এ দিকে, সময়ে পুলিশ না আসায় গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বোমাবাজি থামলে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ও বোমাবাজির কথা স্বীকার করেছেন তৃণমূলের সুতি ২ ব্লকের সভাপতি ওবাইদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই ওই জমিটি নিয়ে ওই দুই নেতার মধ্যে বিবাদ চলছে। ওই দুই নেতা দলে আসায় ভেবেছিলাম সুতিতে দল আরও মজবুত হবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, উল্টে সুতিতে দলের বদনাম হচ্ছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘বহিরাগত দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে যে ভাবে বোমাবাজি করা হয়েছে তা ভাল ভাবে দেখছে না দল। পুলিশকে কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বলা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy