মাঝ-ফাল্গুনের দুপুরে এল নেমে শ্রাবণধারা। বুধবার কৃষ্ণনগরে। নিজস্ব চিত্র
ভোরের দিকে কোথাও হালকা, কোথাও বা ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। সঙ্গে মেঘের গর্জন। সকালের দিকে আর বৃষ্টি হয়নি বটে।
বুধবার দুপুর গড়াতেই অবশ্য পাল্টে যায় ছবিটা। ঘন কালো মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ঝেঁপে নামে বৃষ্টি। জেলার কোনও কোনও প্রান্তে অবশ্য দুপুরেও তেমন বৃষ্টি হয়নি। তবে কখনও হালকা, কখনও ঝোড়ো হাওয়া বয়েছে।
বেশ ভারী বৃষ্টি হয়েছে কৃষ্ণনগর ও আশপাশের এলাকায়। শান্তিপুর, বাদকুল্লা, রানাঘাটেও ভাল বৃষ্টি হয়। বৃষ্টির সঙ্গে কয়েক জায়গায় যোগ হয়েছে লোডশেডিংও। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এরই মধ্যে পূর্ব বাদকুল্লার একটি অংশে মঙ্গলবার রাতে লোডশেডিং হয়ে যায় বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে বিদ্যুৎ আসেনি বলে জানিয়েছেন তাঁরা। বিদ্যুৎ দফতরে বারবার জানিয়েও ফল মেলেনি বলে অভিযোগ। উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়েছে।
বাদকুল্লার ওই এলাকার বাসিন্দা, সিপিএমের তাহেরপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুপ্রতীপ রায় বলেন, “মঙ্গলবার রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। সংশ্লিষ্ট দফতরে জানানো হলেও সমাধান হয়নি।” বিদ্যুৎ দফতরের নদিয়ার আঞ্চলিক আধিকারিক রমেশ মধু বলেন, “ওই এলাকায় একটি সমস্যা হয়েছে। কর্মীরা কাজ করছেন। দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।” শিমুরালি এলাকাতেও মঙ্গলবার রাতে ও বুধবার সকালে কয়েক দফায় লোডশেডিং হয়। বেলার দিকে অবশ্য সেই সমস্যা আর ছিল না।
ভারী বর্ষণের জেরে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, রানাঘাট শহরের কিছু নিচু এলাকায় জল দাঁড়িয়ে যায়। শান্তিপুরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের খুদেকালীতলা এলাকায় পুরসভার তরফে পাম্প দিয়ে জল বের করা শুরু হয়েছে। ধানতলা, শিমুরালিতেও কিছু জায়গায় রাস্তায় জমা জলে নাকাল হন পথচারীরা। তবে মোটের উপর, বেশ কয়েক দিন গুমোটের পরে এই অকাল বর্ষণে খুশি প্রায় সকলেই। এ দিন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ছিল না। তার ফলে বৃষ্টির জন্যে অসুবিধায় পড়তে হয়নি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy