Advertisement
E-Paper

বাংলাদেশের ইলিশ মিলবে আর কত দিন

এই পরিস্থিতিতে সাত দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করতে বলা হয়েছে সে দেশের সরকারকে। না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ওই নোটিসে।

দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় 

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:৪২
বৃষ্টি ভেজা দিনে বাঙালির সব থেকে পছন্দের খাবার ইলিশ।

বৃষ্টি ভেজা দিনে বাঙালির সব থেকে পছন্দের খাবার ইলিশ। প্রতীকী ছবি।

একে বৃষ্টি, তায় ইলিশ!

অনেক দিন পর যুগলবন্দিটা নেহাত মন্দ হয় নি। বৃষ্টি ভেজা দিনে বাঙালির সব থেকে পছন্দের খাবার ইলিশ। সে যদি ছুটির দিন হয় তো ভাল, না হলেও খুব বেশি ক্ষতি নেই। যাকে বলে মণিকাঞ্চন! গত কয়েক দিনে সেটাই ঘটেছে জেলা জুড়ে। বাজারে অঢেল ইলিশ, সঙ্গে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরের সৌজন্যে বৃষ্টি আর পড়শি দেশের উপহারের ইলিশের কল্যাণে বিরল একটা দিন।

প্রতিবারের মতো এ বারও বাংলাদেশ থেকে পুজোর মুখে রফতানি শুরু হয়েছে ইলিশ। বাজার তাই ইলিশময়। যদিও দাম সাধারণের নাগালের মধ্যে আদৌ নয়। তবুও মাছ বিক্রেতাদের ডালায় স্তূপীকৃত ইলিশ দেখে চোখ জুড়িয়েছে অনেকের। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, নিম্নচাপের কারণে এখন সমুদ্রে নদীতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আসা ইলিশের কারণে বাজারে যোগান এখন বেশ ভাল। তবে দাম সুলভ নয়।

মৎস্য ব্যবসায়ী বাদল হালদার জানান, বাংলাদেশের মাছ আসছে। তবে ওজন এবং দাম দুই-ই ভারী। ২৫ পিস মাছের ক্রেট ২০ কেজি ওজন। পাইকারি দাম কেনা পড়ছে ১১০০ টাকা কেজি। এক একটা ইলিশ গড়ে ৮০০ গ্রাম ওজন। এরপরের যে সাইজটা আসছে সেটা এক কেজি বা ১১০০ গ্রাম। পাইকারি কেনা পড়ছে ১২০০ টাকার আশেপাশে। এখন দিঘা বা ডায়মন্ড হারবারের ইলিশ বাজারে নেই।”

স্থানীয় বাজারে ১১০০-১৪০০ টাকা কিলোগ্রাম দরে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশের ইলিশ। তবে কতদিন বাংলাদেশের ইলিশ এ বার পাওয়া যাবে তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে মাছের পাইকার চিন্ময় ভৌমিক বলেন, “শুনেছি, বাংলাদেশের এক আইনজীবী এই ইলিশ রফতানি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য: অস্বাভাবিক দামের জন্য সে দেশের মানুষ যখন ইলিশ খেতে পাচ্ছেন না, তখন কেন এত মাছ অন্য দেশে পাঠানো হবে? যদিও ২৪৫০ টন ইলিশ কিছুই নয় আমাদের এখানে। তবুও সেটুকু ইলিশও পাওয়া যাবে কি না বুঝতে পারছি না এখনও।”

বাংলাদেশের এক আইনজীবী সে দেশের সরকারের একাধিক দফতরের কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন এই মর্মে যে, দেশের বাজারে প্রবল চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ইলিশ ভিন্‌ দেশে কেন পাঠানো হচ্ছে। রফতানির ফলে বাংলাদেশের বাজারে ইলিশের দাম অস্বাভাবিক চড়ে গিয়েছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষেও ইলিশ কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

এই পরিস্থিতিতে সাত দিনের মধ্যে ভারতে ইলিশ রফতানি বন্ধ করতে বলা হয়েছে সে দেশের সরকারকে। না হলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে ওই নোটিসে।

এমতস্থায় পুজোর মরসুমে পদ্মার ইলিশ আদৌ এ বার পাতে পড়বে কি না তা মা দুগ্গা জানেন! আপাতত যা জোটে তা-ই সই!

Hilsa
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy