Advertisement
E-Paper

শিশুর দেহ আটকে টাকা দাবি হাসপাতালের

রবিবার জলঙ্গির নরসিংহপুরের মৌসুমী বিশ্বাসকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছিল। মঙ্গলবার,  সিজারিয়ান করে তাঁর যমজ পুত্রসন্তান হয়। তাঁর স্বামী কিঙ্কর বিশ্বাস দাবি করেন, জন্মের পরে স্ত্রী-পুত্র ভালই ছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৮ ০১:০২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

জন্মের পরে ভালই ছিল শিশুটি। অবস্থা বাঁক নিতে শুরু করে রাতের দিকে। নার্সিংহোমের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ভেন্টিলেশনে দিতে হবে। বাড়তি টাকা জমা দিন।’ তবে শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। টাকা মেটানো হয়নি বলে দেহ ছাড়তেও চায়নি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।

বুধবার সন্ধে থেকে তা নিয়েই বাড়তে থাকে উত্তেজনার পারদ। জোর করে দেহ আটকে রাখার অভিযোগ তুলে ওই শিশুর পরিবার পুলিশে নালিশ জানিয়েছে। বহরমপুর থানার আইসি সনৎ দাস বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টা স্বাস্থ্য কমিশনে পাঠিয়ে দিয়েছি।’’ বুধবার হাসপাতালের গেটের সামনেই অবস্থান শুরু করে শিশুর বাড়ির লোকজন। পুলিশ পরে তাঁদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়।

রবিবার জলঙ্গির নরসিংহপুরের মৌসুমী বিশ্বাসকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছিল। মঙ্গলবার, সিজারিয়ান করে তাঁর যমজ পুত্রসন্তান হয়। তাঁর স্বামী কিঙ্কর বিশ্বাস দাবি করেন, জন্মের পরে স্ত্রী-পুত্র ভালই ছিল। বুধবার দুপুরের পর থেকে হঠাৎ তাঁর এক সন্তানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কিঙ্কর বলেন, ‘‘নার্সিংহোম থেকে বলা হয়, টাকা জমা দিন, ভেন্টিলেশনে রাখতে হবে। আমি বলি জলঙ্গিতে আছি, পৌঁছেই টাকা জমা দেব। দয়া করে চিকিৎসা বন্ধ করবেন না, যা করার করুন।’’

রাতে হাসপাতালে এসে শোনেন শিশুটি মারা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘নির্বিকার গলায় জানিয়ে দিল, ‘মারা গেছে’। তার পরেই ধরিয়ে দিল ২. ৮০ লক্ষ টাকার বিল। বলা হল, টাকা মিটিয়ে দেহ নিয়ে যাবেন।’’ তিনি বলেন, ‘‘সব বিল মিটিয়ে দিতে আমি রাজি। তবে আদালতের নির্দেশেই দেব।’’ আজ শুক্রবার এ ব্যাপারে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন তাঁরা।

হাসপাতালের দাবি, জন্মের পর থেকেই ওই শিশুটির অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। সে কথা বারে বারে শিশুটির বাড়ির লোকজনকে জানানোও হয়েছিল। এখন তাঁরা সে কথা অস্বীকার করছেন। তবে হাসপাতালের পক্ষে অশোক লোধা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

Hospital Death Newborn Baby
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy