Advertisement
E-Paper

বন্দির মৃত্যুকে ঘিরে ভাঙচুর

বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের হাসপাতাল থেকে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার, সেখানেই মারা যান সাজাপ্রাপ্ত বন্দি সাবির শেখ (৩৮)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৭ ০১:৩২
ভাঙচুর: বহরমপুরে তোলা ছবি।

ভাঙচুর: বহরমপুরে তোলা ছবি।

বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের হাসপাতাল থেকে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার, সেখানেই মারা যান সাজাপ্রাপ্ত বন্দি সাবির শেখ (৩৮)। কান্দির জীবন্তী এলাকার ধলা গ্রামেও সাবিরের মারা যাওয়ার খবর গ্রামে পৌঁছতেই গ্রাম জুড়ে তোলপাঢঞ শুরু হয়েছে। তার পরিবারের দাবি, সংশোধনাগারে তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে।

খবর পেয়ে সাবিরের গ্রামের লোকজন বহরমপুরে এসে মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে বহরমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জেল সুপার টিআর ভুটিয়া জানান, এ দিন ভোর চারটে নাগাদ পেটে ব্যথা নিয়ে তাকে জেলের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসক তাকে গ্যাস-অম্বলের ওষুধও দেন। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় সাবির।

জেল ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দেড় দশক আগে একটি ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ছিল সাবির শেখ। আদালতের নির্দেশে সাবির জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতেই ছিল। গত ২৪ জানুয়ারি ওই মামলায় কান্দি আদালতের অতিরিক্ত দায়রা বিচারক তাকে দশ বছরের সাজা দেন। বহরমপুর জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি কান্দি উপ-সংশোধনাগার থেকে তাকে বহরমপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। তার পরে থেকেই সাবির বহরমপুর জেলের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন। সাবিরের এক দাদা দিলীপ শেখের অভিযোগ, ‘‘আমার ভাইকে জেলের মধ্যে পিটিয়ে মারা হয়েছে।’’

তাঁর দাবি, সাবিরের দেহে একাধিক কালশিটে পড়ার দাগ ছিল। তার পরিবারের দাবি, ওই বন্দির কোন দিন অম্বলের সমস্যা ছিল না। গ্যাস-অম্বল থেকেই যদি মারা যায় তাহলে মঙ্গলবার রাতে কান্দি থানার পুলিশ বাড়িতে এসে সাবিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক এমন খবর দেয় কি করে? এ ব্যাপারে বহরমপুর থানায় এবং জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তাঁরা।

Hospital vandalised prisoner Death
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy