ভাঙচুরের পরে। নিজস্ব চিত্র
এক রোগীর মৃত্যুর পরে হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নিল পুলিশ। ভাঙচুরে জড়িত অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে আবার ‘রেফার’ রোগ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সোমবার ভোরবেলা ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলাকে। চিকিৎসকেরা রোগীর অবস্থা দেখেই দ্রুত রেফার করেছিলেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় বছর ছাব্বিশের রোজিনা বিবির। আর সেখান থেকেই দেহ নিয়ে আবারও ডোমকল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ফিরে এসেই তাণ্ডব চালায় মৃতের আত্মীয়রা। ভাঙচুর করা হয় জানালার কাচ ও জরুরি বিভাগের আসবাব।
মৃত মহিলার আত্মীয়দের দাবি, হাসপাতালে গাফিলতিতেই রোজিনার মৃত্যু হয়েছে। একটু গুরুত্ব দিয়ে দেখলেই তাঁকে বাঁচানো যেত। যদি হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখেই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। কোনও রকমের গাফিলতি হয়নি। ভাঙচুরের ঘটনায় হাসপাতালের তরফে অভিযোগ জানানো হয় ডোমকল থানায়। দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়।
রেজিনার বাড়ি ডোমকলের জোড়গাছা গ্রামে। সেখান থেকে তাঁকে আত্মীয়রা নিয়ে আসেন ডোমকল সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময় ওই রোগীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, সব দেখেই চিকিৎসক স্থানান্তরিত করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যদিও রোজিনার আত্মীয়দের অভিযোগ, রোগীর দিকে ফিরেও তাকায়নি চিকিৎসকেরা, হাসপাতালে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গেই রেফার করে দেয়াও হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। একটু নজর দিয়ে দেখলেই হয়তো তাকে বাঁচানো যেত।
ডোমকল মহাকুমা ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত চোংদার বলেন, ‘‘রোগীর আত্মীয়দের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে কোনও অভিযোগ করা হয়নি, ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy