কী ভাবে পাঁক থেকে মিলবে ফোন, সিবিআইয়ের ‘তদন্ত’ চাক্ষুষ করতে বিধায়কের পুকুরপাড়ে ভিড় জমজমাট। —ফাইল চিত্র।
পাঁক ঘেটে মোবাইল খুঁজতে এসে হাল ছেড়েছেন শ্রমিকরা। অগত্যা বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার পুকুরের পাঁক তুলতে জেসিবি এনেছে সিবিআই। আর তার পরেই নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো বিধায়কের পুকুরপাড়ে শুরু হয়েছে উৎসাহীদের ভিড়। কেউ অধীর আগ্রহে বসে রয়েছেন বিধায়কের ছুড়ে ফেলা মোবাইল দেখবেন বলে। কারও সমস্ত উৎসাহ শুধু জেসিবির মাটি কাটার মধ্যে সীমাবদ্ধ। পুকুরের কালো পাঁক থেকে মোবাইল তুলতে ঠিক কী পরিকল্পনা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা?
রবিবার বিকেল নাগাদ জেসিবি মেশিনটি আনায় সিবিআই। তার পিছনে পিছনে এসেছে মাটি বহনকারী একটি ট্র্যাক্টর। তার কিছু ক্ষণের মধ্যে নিয়ে আসা হয় প্লাস্টিকের পেল্লায় বস্তা। উৎসাহীরা তখনও ঠাওর করতে পারেননি আগামী কয়েক মিনিটের মধ্যে ঠিক কী ঘটতে চলেছে। জেসিবি আসা ইস্তক পুকুরের চার পাশে ভিড় জমেছিল। সবার সামনেই শুরু হয় ‘সিবিআই অপারেশন’। সিবিআই গভীর থেকে আরএ গভীরে।
প্রথমে জেসিবি মেশিনের সাহায্যে পুকুর থেকে কাদা তোলা হচ্ছে। সেই কাদা ভরা হচ্ছে ট্র্যাক্টারে। কাদা ভরে নিয়ে ট্র্যাক্টরটি যাচ্ছে বিধায়কের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি ফাঁকা জায়গায়। বিশাল একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে ঢালা হচ্ছে কাদা। অন্য দিকে, পাম্প চালিয়ে সেই কাদা ভর্তি প্লাস্টিকের বস্তায় আবার জল ভরা হচ্ছে। এ ভাবে কাদার ঘনত্ব কমিয়ে পাঁকে ডুবে থাকা মোবাইল খোঁজার চেষ্টা চালাবেন গোয়েন্দারা।
সন্ধ্যা পর্যন্ত প্লাস্টিকের বস্তায় কাদা ভর্তিরই কাজ চলছে। তার পরেও কাণ্ড চাক্ষুষ করতে ঠায় বসে আছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় বাসিন্দা রমাপ্রসাদ কর্মকারের কথায়, ‘‘সিবিআই তল্লাশি নিয়ে অনেক গল্প শুনেছি। কত ঘটনার কথা পড়েছি। আজ স্বচক্ষে দেখছি।’’ একটু থেমে তাঁর সংযোজন, ‘‘ওদের ধৈর্য আছে বটে। বাপরে বাপ!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy