ফোঁটা দুয়েক বৃষ্টি পড়লে কে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবেন, ভেবে পান না। ভারি ঝড়-বাদলার দিনে তো কথাই নেই। অথচ স্থানীয় অর্থনীতিতে বেলডাঙার পোশাক হাটটি গুরুত্ব কম নয়। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের লাগোয়া প্রায় ৩৫ বিঘা এলাকায় সোমবার থেকে পর দিন দুপুর পর্যন্ত হাট চলে। হাট এতটা জায়গা জুড়ে বসলেও কোনও পরিকাঠামো নেই। কখনও বৃষ্টিতে ভিজে, কখনও ত্রিপলের আড়ালে পসরা নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা।
গত এপ্রিলে জেলায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই একটি রেডিমেড পোশাক হাবের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই ঘোষণার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে রাজ্য ক্ষুদ্র শিল্প মন্ত্রক বাজার তৈরির জন্য ৬ কোটি ৭৭ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছে। সে কথা জানিয়ে জেলাশাসক পি উলগানাথন বেলডাঙা পুরসভার পুরপ্রধানকে সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে লিখিত ভাবে জানান। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে বেলডাঙা পুরসভা দরপত্র আহ্বান করেছে। তৈরি হয়ে গিয়েছে বাজারের তৈরির চূড়ান্ত নকশাও। বেলডাঙা থানার ঠিক পাশে ৩৪ নম্বর জাতীয় লাগোয়া প্রায় ১০ বিঘা সরকারি জায়গার একটা অংশে এই ভবন নির্মাণ হবে। থাকবে চারটি তল। প্রতিটিতে ১১৯টি ঘর থাকবে। থাকবে পণ্য বহনের লিফ্ট, চওড়া সিঁড়ি।
পড়শি জেলা নদিয়া, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ থেকেও ব্যবসায়ীরা ভিড় জমান বেলডাঙার ওই পোশাক হাটে। কিন্তু পরিকল্পিত ভাবে বাজার না গড়ে ওঠায় বাজার যে ক’দিন খোলা থাকার সময় প্রচুর যানজট হত। এ বার সেই যন্ত্রমা থেকে রেহাই মিলবে বলে মনে করছেন পুরকর্তারা।
পুরপ্রধান ভরত ঝাওর জানান, হাটে সপ্তাহে লক্ষ লক্ষ টাকার ব্যবসা হলেও কোনও পরিকাঠাম নেই। হাট সামলাতে প্রতি সপ্তাহে যানজট তৈরি হয়। তাই তিনি পুর বিষয়ক দফতরকে লিখিত ভাবে সমস্যার সমাধানের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ওই হাবের কথা ঘোষণা করেন। পরে জেলাশাসক তাঁকে চিঠি দিয়ে আর্থিক অনুমোদনের কথা জানান।
হাটের ব্যবসায়ী রথীন মণ্ডল বলেন, ‘‘হাব হলে একটা ঘরের আবেদন করব। তা হলে আর ঝড়ে ও জলে ভিজে ব্যবসা করতে হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy