Advertisement
E-Paper

সরানো হল অ্যাম্বুল্যান্স, ফিরল স্বস্তি

জেএনএম চত্বর জুড়ে তাদের চেনা দাপটটা রাতারাতিই উধাও হয়ে গিয়েছে। তবে, তার জেরটা এ দিন সামাল দিতে হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৬ ০২:৪৬
অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড়ানোর জায়গা ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

অ্যাম্বুল্যান্স দাঁড়ানোর জায়গা ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

জেএনএম চত্বর জুড়ে তাদের চেনা দাপটটা রাতারাতিই উধাও হয়ে গিয়েছে।

তবে, তার জেরটা এ দিন সামাল দিতে হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এ দিন সকালে ওই বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সগুলির দেখা না-মিললেও শাসক দলের স্থানীয় এক নেতা সপার্ষদ এসে শাসিয়ে গিয়েছেন হাসপাতালের কর্তাদের। এমনই অভিযোগ করছেন হাসপাতালের সুপার।

বৃহস্পতিবার, আনন্দবাজার পত্রিকায় জেএনএম চত্বর জুড়ে বেসরকারি ওই অ্যাম্বুল্যান্সগুলির দৌরাত্ম্যের খবর প্রকাশিত হয়েছিল। সঙ্গে ছিল, হাসপাতাল এবং ভূক্তভোগী পোগীর পরিবারের লোকজনের অভিজ্ঞতার কথা। উঠে এসেছিল, তৃণমূলের স্থানীয় কাউন্সিলর অমর রায়ের নামও। অভিযোগ ছিল অমরবাবুর প্রচ্ছন্ন প্রশ্রয়েই বেসরকারি ওই অ্যাম্বুল্যান্সগুলির বাড়বাড়ন্ত।

তবে, আগের দিনের মতো এ দিনও অমরবাবু দাবি করেছেন, অ্যাম্বুল্যান্স-এর দাপট নিয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই।

নিজের এলাকার খবর কি তিনি রাখেন না? অমর ব৭লছেন, ‘‘কারা অ্যাম্বুল্যান্স রাখত তা-ও জানি না। সরিয়েই বা কেন নেওয়া হয়েছে তা-আমার জানা নেই।’’

অভিযোগ ছিল, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া কিংবা ‘রেফার’ হওয়া রোগীদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে হাসপাতাল চত্বর জুড়ে দাঁড়িয়ে তাকা অ্যাম্বুল্যান্স ছাড়া বাইরের কোনও অ্যাম্বুল্যান্স নিতে পারতেন না রোগীর পরিবার। বেশি ভাড়া দিয়েই তাঁদের এত দিন বাধ্য করা হত ওই অ্যাম্বুল্যান্সগুলি ভাড়া করতে।

কোনও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সেই জুলুমবাজিই এত দিন মেনে আসছিলেন রোগীর পরিবার। এ ব্যাপারে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে বিষয়টি ওঠার পরে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর অমরবাবুই। কিন্তু দিন কয়েকের মধ্যেই পুরনো অবস্থায় ফিরে গিয়েছিল— শুরু হয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্স-এর দাপট।


বৃহস্পতিবার আনন্দবাজারে প্রকাশিত সেই খবর।
সবিস্তার পড়তে ক্লিক করুন।

এ দিন সে খবর প্রকাশিত হতেই, অ্যাম্বুল্যান্স সিন্ডিকেটের জুলুমবাজি নিয়ে প্রকাশ্য়েই সরব হন রোগীর বাড়ির লোকজন। বেলা বাড়তেই নড়ে চড়ে বসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মুখে কালি লাগছে দেকে স্থানীয় তৃমমূল নেতৃত্বও এ ব্যাপারে অমরবাবুর পাশে দাঁড়াতে রাজি হয়নি। হাসপাতালের উন্নয়ন ও পরিষেবা নিয়ে তাঁরা যে কোনওভাবে আপোস করতে রাজি নন, তা তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় বলেও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

সবুজ সঙ্কেত পেয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি হাসাপাতল কর্তৃপক্ষও। বেলা বাড়তেই নিরাপত্তারক্ষীরা হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সগুলিকে বের করে দেন। প্রাথমিকভাবে সামান্য উত্তেজনা তৈরি হলেও, চালকেরা গাড়ি বের করে নিয়ে চলে যান।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যাতে ফের অ্যাম্বুল্যান্সগুলি হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার স্নেহপ্রিয় চৌধুরী বলেন, ‘‘হাসপাতালের উন্নয়নের জন্য যা দরকার তা করা হয়েছে। আগামী দিনেও হবে। কেউ যদি কোনও বিষয় নিয়ে অভিযোগ করেন, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

JNM Hospital Ambulance
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy