প্রতীকী ছবি।
অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিন পালন নিয়ে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল গয়েশপুরের গোলবাজার এলাকা। শুক্রবার দুপুরে দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দফায় দফায় মারামারি হয়। দলেরই একটি সূত্রের খবর, গয়েশপুর শহর মণ্ডলের সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল ও প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জীব ধরের অনুগামীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে।
এ দিন সকাল থেকেই গয়েশপুরে অটলবিহারীর তোড়জোড় চলছিল। কিন্তু কোথায় ওই অনুষ্ঠান হবে তা নিয়ে বিশ্বজিৎ ও সঞ্জীবের মধ্যে বিরোধ বাধে। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, গয়েশপুর শহরে বিজেপির একমাত্র বড় দলীয় কার্যালয়টি অবস্থিত গোলবাজারে। সেখানেই এক সময় বসতেন প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি। ওই কার্যালয়ের চাবি এখনও সঞ্জীবের কাছেই আছে।
সঞ্জীবের দাবি, “ওই কার্যালয়ের সামনে মাস কয়েক আগে দুটো বোমা মেলে। বর্তমান সভাপতি নিয়ম মেনে তা থানায় জানাননি। এই অবস্থায় চাবি তাঁর হাতে রাখা যায় না। তা ছাড়াও কিছু দিন আগে জেলা নেতারা বিশ্বজিৎবাবুকে অন্যত্র কার্যালয় তৈরি করতে বলেন। তা সত্ত্বেও এ দিন সকালে উনি আমায় ফোন করে কার্যালয়ের চাবি চান।” সঞ্জীব তাঁকে চাবি দিতে রাজি হননি। তাঁর দাবি, “তখন তিনি আমাকে ‘গুন্ডা’ বলেন। উনি তো কখনই দল করতেন না। আচমকা সভাপতি হয়ে গিয়ে আমাকে ও পুরনো লোকদের অপমান করতে শুরু করেছেন। এটাই কেউ মেনে নিতে পারেননি। তাঁরা বিশ্বজিৎবাবু ও তাঁর অনুগামীদের কাছে গিয়ে এর প্রতিবাদ করেছেন মাত্র।”
বিশ্বজিতের অভিযোগ, চাবি না পেয়ে তাঁরা কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠান করছিলেন। সেই সময়ে সঞ্জীবের লোকজন এসে সভাস্থল ভাঙচুর করে। দলের লোকজনকে বেধড়ক মারধরও করা হয়। তবে সঞ্জীবের দাবি, “ওঁদের কেউ মারেনি। উল্টে ওঁরা দলের রাজ্য কমিটির সদস্য মানবেন্দ্রনাথ রায়ের ছবি সংবলিত ফ্লেক্স ছিঁড়েছে।” তাঁর মতে, “আসলে বিশ্বজিৎবাবু এক সময় দেশের বাইরে থাকতেন। তিনি কখনই দল করেননি। ফলে তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে না লড়়াই করে দলের অন্য নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন।”
বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা কমিটির সদস্য তথা গয়েশপুর মণ্ডলের পর্যবেক্ষক চঞ্চল পাল বলেন, “এটা দলের অভ্যন্তরীণ ঘটনা। দলই সমস্যা মিটিয়ে নেবে।” দলের রাজ্য কমিটির সদস্য মানবেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “জেলাস্তরের নেতারা নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy