প্রতীকী ছবি।
শাসকদলের গোষ্ঠী-কোন্দলের চিত্র ফের প্রকাশ্যে। এ বার সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে সরব হয়েছেন লালগোলার এক তৃণমূল নেতা। দলের জেলা সভাপতির উদ্দেশে দু’দিন আগে লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ মোতাহার হোসেন সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি খোলা চিঠি পোস্ট করেছেন। তাতে লালগোলা বিধানসভা এলাকায় দলের গোষ্ঠী-কোন্দল রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
কয়েক দিন আগে দলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান লালগোলায় দলীয় নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। তার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এই ‘খোলা চিঠি’ নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। বিরোধী দলগুলি তো বটেই, তৃণমূলেরও অনেক বড়-মেজো, নেতা-কর্মী এ নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন।
লালগোলা পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ মোতাহার বলেন, ‘‘দলের জেলা সভাপতি লালগোলায় এলে ডাক পাই না। তাই উপায় না দেখে জেলা সভাপতির উদ্দেশে খোলা চিঠি দিয়েছি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘লালগোলায় দলীয় সংগঠনের কী অবস্থা, সেটাই তুলে ধরেছি। যে সব সমস্যা রয়েছে, তা সমাধানের আবেদন করেছি।’’ এ নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, ‘‘কয়েকদিন আগেই লালগোলার ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ দলের নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেছি। যা সমস্যা ছিল তার সমাধান করা হয়েছে। হয় তো দলের সেই বৈঠকে ডাক না পেয়ে তিনি (মোতাহার) এমন কথা বলছেন।’’ মোতাহার ফেসবুকে খোলা চিঠিতে জানান, লালগোলা ব্লকে মানিকচক, বিলবোরা কোপড়া ও লালগোলা, এই তিনটি ছাড়া বাকি ৯টি অঞ্চলের সংগঠনে অন্তর্কলহ রয়েছে। পিকে-র দলের লোকজন সেখানে থাকলেও তাঁরা কতটা কাজের কাজ করতে পারছেন তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন মোতাহার।
তাঁর আরও অভিযোগ, বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দলের অঞ্চল নেতৃত্বের সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বা পঞ্চায়েত সদস্যদের সম্পর্ক ভাল নয়। কোথাও প্রধান, কোথাও বা অঞ্চল সভাপতি নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন। এসব সমস্যা মিটিয়ে সকলকে এক ছাতার তলায় আনতে না পারলে বিধানসভা নির্বাচনের ফলে প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য তাঁর। পোস্টে ব্লকে নেতৃত্বের সমালোচনাও করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘‘অনেক ব্লক কমিটির সদস্য, পদাধিকারী তাঁদের নিজের এলাকার খোঁজখবর রাখেন না। উল্টে অন্য এলাকায় গিয়ে ‘মাতব্বরি’ করতে বেশি পছন্দ করছেন। যা বিধানসভা ভোটে দলের ভরাডুবি ডেকে আনতে পারে। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে লালগোলা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শুভরঞ্জন রায় বলেন, ‘‘দলের যে সমস্যা ছিল, তা আলোচনার মাধ্যমে মেটানো হয়েছে। এখন লালগোলায় দল শক্তিশালী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy