প্রতীকী ছবি।
নবাবের শহরের এই বিধানসভায় ২০১১ সালে ফরওয়ার্ড ব্লক এবং ২০১৬ সালে তৃণমূলকে হারিয়ে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে জিতেছিলেন ডোমকলের বাসিন্দা শাওনি সিংহ রায়। পরে তিনি তৃণমূলে নাম লেখান এখন তিনি তৃণমূলের বিধায়ক। কিন্তু বিধায়কের ডাকা কর্মিসভায় অনুপস্থিত থাকেন বিধানসভা এলাকার দুই পুর প্রশাসক, দুই ব্লক সভাপতি সহ একাধিক নেতা। কেন যাননি বিধায়কের সভায়? তাঁদের উত্তর, দলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সে কথা জানাবেন। এমন যদি চিত্র হয় তাহলে তৃণমূলের এ বার সরাসরি জেতা শক্ত হবে, সে কথা দলেরই একাংশ বলছেন।
মুর্শিদাবাদ বিধানসভা এলাকায় একটা সময় যারা বাম কংগ্রেসের ডাকাবুকো নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তাঁরা আজ বেশিরভাগটাই রাজ্যের শাসকদলে। আবার অনেকে মনে করেছেন যদি বাম কংগ্রেসের জোট হয় তাহলে ভাল ফলাফল হতে পারে বাম কংগ্রেসের। যদিও মুর্শিদাবাদ বিধানসভাকে পাখির চোখ করে এগিয়ে চলেছে গেরুয়া শিবির। তাদের সকল স্তরের নেতাদেরই দাবি এবার মুর্শিদাবাদ বিধানসভা তাদের দখলেই থাকবে। লালবাগ টাউন বিজেপির সভাপতি সৌমেন মণ্ডল বলছেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ বিধানসভা যে আমরা দখল করব তা নিয়ে আমরা নিশ্চিত। কারন মানুষ তৃণমূল বিরোধী হয়ে গিয়েছে। তাদের দুর্নীতির পাহাড় মানুষ আর সহ্য করবে না।’’ তবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যতই থাকুক, ভোটের সময় সকলে একই ভাবে খাটবে বলেই আশা শাওনির। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা তিনি স্বীকারও করছেন। তিনি বলছেন, ‘‘এক সংসারে থাকতে গেলে একটু ঝামেলা হয়ই কিন্তু সংসারের যখন বিপদ আসে তখন সবাই সব ভুলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তেমনই ভোটের সময় সকলেই কিন্তু দলের হয়েই ভোট করবে।’’ যা শুনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক নেতা বলছেন, ‘‘দেখুন আমরা যখন কংগ্রেসে ছিলাম তখনও কিন্তু বিরোধ ছিল কিন্তু শেষমেশ ভোট কংগ্রেসের হয়েই করেছি। কিন্তু এখানে বিরোধটা এমন জায়গায় পৌঁছিয়েছে দ্রুত না সামাল দিতে পারলে ফল খারাপই হবে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy