শান্তিপুর পুরসভায় সিবিআই অফিসারেরা। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোোগ ছিল না। তবু বুধবার শান্তিপুর পুরসভায় হানা দিল সিবিআই।
পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১৪ সালের পর থেকে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে চান অফিসারেরা। তবে ২০০৯ সালের পর থেকে নতুন কোন স্থায়ী কর্মী নিয়োগ হয়নি। ২০১৮ সালে এক বার নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল বটে, তবে তা বাতিল করে দেওয়া হয়। সেই নিয়োগের পরীক্ষার দায়িত্বে ছিল অয়ন শীলের সংস্থা।
এ দিন বেলা ১১ টা নাগাদ শান্তিপুর পুরভবনে ঢোকে সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল। প্রথমেই প্রধান করণিকের কাছে গিয়ে তাঁরা নিয়োগের বিভিন্ন তথ্য জানতে চান। পরে পুরপ্রধান ও কয়েক জন পুরকর্মীর সঙ্গেও তাঁরা কথা বলেন।
শান্তিপুর পুরসভা সূত্রের দাবি, ২০০৯ সালের পর সেখানে কোনও স্থায়ী কর্মী নিয়োগ হয়নি। ২০১৪ সাল নাগাদ ১৮ জন কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। মূলত ‘গ্রুপ সি’ এবং ‘গ্রুপ ডি’ পদের কর্মী নিয়োগের জন্যই এই বিজ্ঞপ্তি ছিল। সেই নিয়োগের পরীক্ষা অবশ্য হয় বেশ কয়েক বছর পর ২০১৮ সাল নাগাদ। তার পরেও নিয়োগ হয়নি। বেশ কয়েক বছর বিষয়টি পড়ে থাকার পর ২০২২ সালে পুরসভার তরফে ডিরেক্টরেট অফ লোকাল বডিজ়-এর কাছে জানতে চাওয়া হয়, এত দিন পার হয়ে যাওয়ার পর এই নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কি না। তারা তা বাতিল করে দেয়।
পুরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে যে নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা হয়েছিল, তার দায়িত্বে ছিল ইতিমধ্যে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থা। এ দিন দুপুর ৩টে পর্যন্ত নানা জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি নানা নথি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় সিবিআই। তার মধ্যে রয়েছে ২০১৮ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তির প্রতিলিপি, পরীক্ষার্থীদের আবেদনপত্রের প্রতিলিপি, অয়ন শীলের সংস্থার সঙ্গে চুক্তি, পরীক্ষার ফল সহ এই নিয়োগের পরীক্ষার বিষয়ে প্রশাসনিক স্তরে যে সমস্ত চিঠিপত্র আদান-প্রদান হয়েছিল সেগুলো।
পুরপ্রধান সুব্রত ঘোষ বলেন, "ওঁরা নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি এবং তথ্য চেয়েছিলেন। যা চেয়েছিলেন, সবই আমরা দিয়েছি।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy