Advertisement
E-Paper

ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টিতে সেচের কর্তারা চিন্তায়

কান্দি মহকুমা সেচ আধিকারিক দীপক রক্ষিত বলেন, “বাঁধের অবস্থা যে খারাপ, তা নয়। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি হলে সেই জল মূলত ময়ূরাক্ষী নদী দিয়ে বয়ে যাবে। তাতে কিছুটা তো চিন্তা রয়েছেই।”

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৭ ০২:৩৫

উত্তরের মতো দক্ষিণবঙ্গে তেমন বৃষ্টি না হলেও ঝাড়খণ্ডের ভারী বৃষ্টিতে সেচ দফতরের কর্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

দফতর সূত্রের খবর, জেলা জুড়ে অতি-বৃষ্টি হলেও বন্যার আশঙ্কা থাকে না। ভয়টা ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে। কান্দি ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে বারশো মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু এ বার অগস্ট মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এলাকায় প্রায় ৬৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় কান্দি মহকুমা জুড়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ম্যাসাঞ্জোর জলাধারে জলস্তর বিপদসীমা ছুলেই হাজার হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। ওই জল ময়ূরাক্ষী নদীতে পড়ে। তাতেই নদীর বাঁধ ভেঙে বন্যা দেখা দেয় কান্দিতে।

সেচ দফতরের আধিকারিকদের কথায়, ‘‘এ বার ময়ূরাক্ষী নদীর বামহাতি বাঁধের বড়ঞা ব্লকের তালবোনা থেকে ভরতপুর ১ নম্বর ব্লকের রাজারামপুর পর্যন্ত নদী বাঁধের কাজ হয়েছে। ব্রাহ্মণী নদীর জল উপচে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। মাস খানেক আগেই ওই নদীর জল পদমকান্দি গ্রাম পঞ্চায়েতে ঢুকে বেশ কয়েকটি গ্রামকে প্লাবিত করে। রাস্তায় জলে উঠে গিয়েছিল। ফসল জলের তলায় চলে যায়।’’ ফলে আবার ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টির খবর পেয়ে চিন্তায় সেচ দফতরের আধিকারিকেরা।

কান্দি মহকুমা সেচ আধিকারিক দীপক রক্ষিত বলেন, “বাঁধের অবস্থা যে খারাপ, তা নয়। কিন্তু ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি হলে সেই জল মূলত ময়ূরাক্ষী নদী দিয়ে বয়ে যাবে। তাতে কিছুটা তো চিন্তা রয়েছেই।”

সোমবার তিলপাড়া জলাধার থেকে দশ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এতে অবস্থা চিন্তার কোনও কারণ নেই। এমনটাই মত দফতরের কর্তাদের। কিন্তু এর পরে জল বাড়লে তা নিয়ে চিন্তা রয়েই যাচ্ছে।

Jharkhand Heavy Rainfall Irrigation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy