অবস্থান। বহরমপুর কোর্টে। নিজস্ব চিত্র
বিচারকের এজলাসের সামনে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অবস্থান করলেন আইনজীবীরা। সোমবারের পরে আজ মঙ্গলবারও ফের অবস্থান বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
আদালতের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে গত ২০ জুলাই থেকে বহরমপুরের সব আদালতে কর্মবিরতি করেছে বহরমপুর বার অ্যাসোসিয়েশন। তাঁদের অন্যতম দাবি, মাদক সংক্রান্ত মামলার জন্য একটির বদলে দু’টি এজলাস খুলতে হবে।
বর্ষীয়ান আইনজীবী কাঞ্চনলাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই এজলাসে মাদক সংক্রান্ত মামলার সংখ্যা আটশোরও বেশি। ফলে বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে। বহরমপুরে মাদক সংক্রান্ত মামলার দ্বিতীয় এজলাস খোলার দাবি কলকাতা হাইকোর্ট মেনে নেওয়ার পরে গত ২৩ জুলাই একটি এজলাস বাদ দিয়ে বাকি সব এজলাস থেকে কর্মবিরিতি তুলে নেওয়া হয় ।’’ কিন্তু একটি এজলাসে থেকে কর্মবিরতি চলতেই থাকে। বহরমপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দীপককুমার রায়ের অভিযোগ, ‘‘সংশ্লিষ্ট এজলাসের বিচারকের অসঙ্গত, অভব্য ও অবিচারকসুলভ আচরণের জন্য সাক্ষ্যগ্রহণ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরণের আইনি প্রক্রিয়া স্তব্ধ হয়ে রয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে আসা বিচারপ্রার্থীরা হয়রান হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিকার চেয়ে আমরা কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ও মুর্শিদাবাদ জেলা জজের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। কিন্তু সুরাহা মেলেনি। গত শনিবার জেলা জজ আমাদের জানান, সমাধান তাঁর হাতের নাগালে নেই। ফলে অবস্থানে বসতে বাধ্য হয়েছি।’’
ওই আন্দোলনের ফলে বহরমপুর আদালতের কোনও এজলাসেই ঢোকেননি আইনজীবীরা। বেশ কিছু বিচারপ্রার্থী হয়রান হয়ে ফিরে যান। বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পীযূষ ঘোষ অবশ্য দাবি করেন, ‘‘এজলাসে কাজ না হওয়ায় হয়রানি এড়াতে বিচারপ্রার্থীদের না আসার জন্য আমরা আগাম ফোনে জানিয়ে দিয়েছিলাম।’’ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক দীপঙ্কর পালের নেতৃত্বে জেলা জজের এক দল প্রতিনিধি অবস্থানকারী আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করেন। আইনজীবীরা জানান, জটিলতা কাটাতে মঙ্গলবার জেলা জজ বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে একটি চিঠি দেবেন। তার পরে আইনজীবীরা এ দিনের মতো অবস্থান তুলে নেন।
দীপকবাবুর দাবি, ‘‘প্রায় একশো বছরের পুরনো এই আদালতে কোনও এজলাসের সামনে আইনজীবীদের অবস্থান ঘটনা এই প্রথম। ওই বিচারক অপসারিত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।’’ আজ, মঙ্গলবারও তাঁরা এজলাসের সামনে অবস্থানে বসবেন জানিয়ে দীপকবাবু বলেন, ‘‘জেলা জজের চিঠি পেলে বুধবার বার অ্যাসোসিয়েশনের সভায় পরের পদক্ষেপ ঠিক করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy